নিজস্ব প্রতিনিধি:
ফলের বাজার স্থিতিশীল এবং সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রাখতে এবার কমলা, আপেল, নাশপাতি, আঙুর, জাম্বুরা, বাতাবি লেবু ও লেবুজাতীয় তাজা বা শুকনো ফল আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ মার্চ) এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সই করা প্রজ্ঞাপনের ওই আদেশ আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত কার্যকর ধরা হয়েছে।
এর আগে গত ১৩ মার্চ কমলা, আপেল, নাশপাতি, আঙুর ও লেবুজাতীয় তাজা বা শুকনো ফল আমদানিতে উৎসে কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। চারদিনের মাথায় শুল্কও কমানো হলো।
এনবিআর সূত্র জানায়, বিলাসী পণ্য বিবেচনা করে আমদানি করা ফলে সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৩০ শতাংশ করা হয়েছিল। তবে রমজানে ফলের বাজার স্থিতিশীল এবং সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রাখার বিবেচনায় তাজা ফল আমদানিতে বাড়তি শুল্ক-কর প্রত্যাহারে সুপারিশ করেছিল বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। প্রতিষ্ঠানটি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসেবে তাজা ফল আমদানিতে বাড়তি শুল্ক ও অগ্রিম কর (এটি) প্রত্যাহার এবং অগ্রিম আয়কর (এআইটি) কামানোর সুপারিশ করে।
ট্যারিফ কমিশনের চিঠিতে রমজানে খেজুরসহ অন্যান্য তাজা ফল যৌক্তিক মূল্যে ভোক্তাগণের কাছে পৌঁছানোর জন্য সরাসরি আমদানিকারকের মাধ্যমে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ট্রাক অথবা ভ্যানে করে যৌক্তিক মূল্যে বিক্রির ব্যবস্থা করার সুপারিশও ছিল।
বর্তমানে রাজধানীর অধিকাংশ বাজারে প্রতি কেজি মাল্টা ২৮০-৩১০ টাকা, কমলা ২৯০-৩০০ টাকা, চায়না (মোটা) কমলা ৩০০-৩২০ টাকা হিসাবে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে আপেল বিক্রি হচ্ছে ৩১০-৩৫০ টাকা কেজি দরে, নাশপতি ৩১০-৩৪০ টাকা এবং আঙুর তিনশ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।