আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল তার বিরুদ্ধে চলমান ফৌজদারি মামলার প্রথম শুনানিতে হাজির হয়েছেন। সিউলের এক আদালতে বৃহস্পতিবার ( ২০ ফেব্রুয়ারি) এই শুনানির সময় অবিলম্বে ইউনের কারামুক্তির আবেদন জানিয়েছেন তার পক্ষের আইনজীবীরা। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, সিউল ডিটেনশন সেন্টারে অবরুদ্ধ ইউনকে আদালতে নিয়ে আসতে বিচার মন্ত্রণালয়ের গাড়ি অবস্থান করছে। আদালতের বাইরে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কয়েক ঝাঁক পুলিশ সদস্য দায়িত্বরত ছিলেন।
ইউনকে আটক রাখার অযৌক্তিকতা নিয়ে তার আইনজীবীরা বলেছেন, অভিশংসিত প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে তদন্ত পরিচালিত হয়েছে এবং ইউনের তরফ থেকে কোনও আলামত ধ্বংসের সম্ভাবনা বা প্রয়াসও নেই।
গত মাসে প্রসিকিউটররা ইউনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়, ৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন জারি করে এক ধরনের বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি।
দেশটির ইতিহাসে ক্ষমতাসীন কোনও প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এই প্রথম গঠিত হলো। দোষী সাব্যস্ত হলে তার কয়েক বছরের কারাদণ্ডও হতে পারে।
এ ঘটনায় দেশটিতে বড় ধরনের রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং তাকে ক্ষমতা থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ ছাড়া, বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের অভিযোগ আনা হয়।
বৃহস্পতিবারের শুনানিতে প্রসিকিউটররা মামলার গুরুত্ব বিবেচনায় কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করার আহ্বান জানান। তবে ইউনের আইনজীবীরা মামলার নথি পর্যালোচনার জন্য বাড়তি সময় আবেদন করেন।
ইউনের একজন আইনজীবী আদালতে দাবি করেছেন, দেশ অচল করে দেওয়ার উদ্দেশ্য তার ছিল না। পার্লামেন্টে বিরোধী দলের একপাক্ষিক আধিপত্য বিস্তারের বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করতে সামরিক আইন জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।