স্টাফ রিপোর্টার:
ইসকনকে অর্থায়নকারী বির্তকিত ব্যক্তিত্ব মিহির কান্তি মজুমদারের দুর্নীতি ও রাষ্ট্রবিরোধীমূলক কর্মকাণ্ডের তথ্যানুসন্ধান ইস্যুতে হুমকি পেয়ে রাজধানীর থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছেন সিনিয়র সাংবাদিক মুন্সী তরিকুল ইসলাম। সম্প্রতি উগ্রবাদী ও আলোচিত হিন্দুত্ববাদী সংগঠনে অর্থায়ন নিয়ে কাজ শুরু করায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। একই সঙ্গে রীতিমত মিহির কান্তি মজুমদারের হুংকারে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় জিডি নথিভূক্ত করতে বাধ্য হয়েছেন। মোহাম্মদপুর থানার জিডি নং ৬৯২, তারিখ-০৮/১২/২০২৪। এরইমধ্যে অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে কাজ শুরু করেছেন মোহাম্মদপুর থানার ঊপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল হাসান খান।
সাংবাদিক মুন্সী তরিকুল ইসলাম জিডি’তে অভিযোগ করেন, তিনি একজন পেশাদার গণমাধ্যমকর্মী ও জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল ‘এইমাত্র ডটকমে’র পরিকল্পনা সম্পাদক হিসেবে কর্মরত আছেন। সম্প্রতি উগ্রবাদী ও আলোচিত হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকনকে অর্থায়নকারী বির্তকিত ব্যক্তিত্ব মিহির কান্তি মজুমদারের দুর্নীতি ও রাষ্ট্রবিরোধিমূলক কর্মকাণ্ডের তথ্যানুসন্ধান শুরু করেন তিনি। আর এতেই বিপত্তি ঘটতে শুরু করে। এই মিহির কান্তি মজুমদার অত্যন্ত প্রভাবশালী এবং পতিত ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের অনুসারী। সাবেক সচিব ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক এবং উদ্দীপন এনজিও’র চেয়ারম্যান। বরগুনা সদর আসন থেকে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন সাবেক এই আমলা। নৌকার মনোনয়নপত্রও তুলেছিলেন। কর্মজীবনে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার নামও মিহির কান্তি মজুমদার। চাকরি জীবনে তিনি যে প্রতিষ্ঠানে গেছেন সেই প্রতিষ্ঠানকেই ডুবিয়েছেন। লোপাট করে পথে বসিয়েছেন। তবে প্রতিষ্ঠানকে হাতিয়ার বানিয়ে নামে-বেনামে বিপুল অর্থ তছরুপ করে বিপুল বিত্তের মালিক বনে গেছেন মিহির কান্তি।
জিডিতে আরো বলা হয়, তাঁর (মিহির কান্তি মজুমদার) অনিয়ম দুর্নীতি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় যাচাইকালে বক্তব্য গ্রহণে গত ২৯/১১/২০২৪ তারিখে +8801715-025597 মোবাইল নম্বরে কল করেন মুন্সী তরিকুল। তিনি রিসিভ করেননি। কিছুক্ষণ পরে একই নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপ থেকে মিহির কান্তি মজুমদার তাকে ফিরতি কল দেন। কিন্তু কোন বক্তব্য না দিয়ে তার ধানমন্ডির ৫ নং রোডের ২০ নং বাসায় গিয়ে সাক্ষাৎ করতে বলেন। এরপর থেকেই জনৈক ফজলে রাব্বি পলাশসহ বিভিন্ন অবান্তর গুন্ডা-মাস্তান ব্যক্তিবর্গ মুন্সী তরিকুলের মোবাইল নাম্বারে ফোন করে বিভিন্ন হুমকিধামকি আসতে থাকে। এরপর অধিকতর বক্তব্য গ্রহণের জন্য গত ০৭/১২/২০২৪ তারিখে তার নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপে কল দিলে হুংকার দিয়ে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদান করেন। এমনকি তিনি ডিএমপি তথা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তার নাম ব্যবহার করে বলেন, তাদেরকে দিয়ে মুন্সী তরিকুলকে সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানি এবং যেকোনো ক্ষতি করবেন। মিহির কান্তি মজুমদার চাকুরীচ্যুত পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের বড়ভাই। তার সহকর্মীদের দিয়েও জানমালের ক্ষতিসাধন করার হুমকি প্রদান করে মিহির কান্তি হোয়াটসঅ্যাপ কল কেটে দেন।
এ পরিস্থিতিতে, মিহির কান্তি মজুমদার সাংবাদিক মুন্সী তরিকুল ও তার সহকর্মী এবং পত্রিকার যেকোন কাজের ক্ষতিরও আশঙ্কা করছেন।