স্পোর্টস ডেস্ক:
চলতি বছরটা বাংলাদেশি পেসারদের জন্য বেশ দারুণ কাটছে। হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদের পর এবার নাহিদ রানাও পেয়েছেন ফাইফারের দেখা।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ডানহাতি এই পেসার বিরল এক প্রতিভা। নিয়মিতভাবে বোলিং করতে পারেন ১৫০ কিলোমিটারের আশেপাশে। তাই তার যত্ন নেওয়ার কথা বললেন বাংলাদেশের বোলিং কোচ আন্দ্রে অ্যাডামস।
নাহিদের গতির কাছে পরাস্ত হয়েই জ্যামাইকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৪৬ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৮ ওভারে ৬১ রান খরচ করে তিনি তুলে নেন ৫ উইকেট। তার এমন সাফল্যের পেছনে হাসান ও তাসকিনের অবদানের কথাও ভুললেন না বোলিং কোচ।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানতাম কোনো না কোনো পর্যায়ে এটা (রানার ফাইফার) আসবে। ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করলে একটা পর্যায়ে উইকেট আসবেই। ফেব্রুয়ারিতে তার যখন অভিষেক হয়েছিল, তখন সে জায়গামতো বল ফেলতে পারছিল না। আমাদের ওকে দেখেশুনে রাখতে হবে। এ কারণেই সে প্রথম ম্যাচে খেলেনি। ’
‘খেলাটাকে ভালোমতো বুঝতে হবে তার এবং দেখতে হবে কীভাবে নিজের জন্য সুযোগ তৈরি করে। ভাগ্য ভালো যে ওর আশপাশে তাসকিন ও হাসানের মতো পেসার আছে, যারা মাঠে ওর মনোযোগ ঠিক রাখে। মিরাজও এই ম্যাচে দুর্দান্ত খেলছে। ’
তৃতীয় দিন শেষে ২১১ রানের লিড নিয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুটা কিছুটা ধীরে হলেও দিনের শেষ দিকে পাল্টা আক্রমণে ব্যাট করতে থাকে সফরকারীরা। ৫ উইকেটে ১৯৩ রান নিয়ে আজ শুরু করবে চতুর্থ দিনের খেলা।
ব্যাটিং নিয়ে অ্যাডামস বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের পরিকল্পনা নিয়ে আমি পুরোপুরি নিশ্চিত নই। আমি শুধু জানি, সিমো (ফিল সিমন্স) তাদের দৃঢ়তার সঙ্গে লড়াই করতে বলেছে। বল হাতে আমাদের আরও ভালো করতে হবে। পিচ আরও ভালোর দিকে এগোচ্ছে আমাদের জন্য। ’
নিজের বোলিং নিয়ে নাহিদ বলেন, ‘ব্যাটাররা এখানে অনেক কিছু চেষ্টা করে, তাই বোলারদের বেশি কিছু চেষ্টা না করে লাইন টু লাইন বোলিং করা ভালো। আমরা এখন ভালো জায়গায় আছি, এখান থেকে যদি ২৫০ রানের ওপরে যেতে পারি, চার নম্বর দিনে উইকেট কঠিন হবে, বাউন্স অসমান থাকবে, স্পিনাররা টার্ন পাবে, চার নম্বর দিন থেকে ভালো কিছু একটা বের করব ইনশা আল্লাহ। ’