নিজস্ব প্রতিনিধি:
যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে আগামী কয়েক মাসে বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা ঢাকা সফর করবেন। এছাড়া পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারে এরই মধ্যে বাংলাদেশকে পরামর্শ এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
সাগরে মাছ আহরণে যুক্তরাষ্ট্রের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে লাফেভের আন্তরিক প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।
সাক্ষাৎকালে যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ বলেন, আমি ইতিহাসের সাক্ষী হতে পেরে গর্বিত। তিনি জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে গণআন্দোলনের স্মৃতিচারণ করেন।
আগামী কয়েক মাসে একাধিক ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা ঢাকা সফর করবেন
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের একটি চিঠিও তিনি ড. ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করেন।
তাদের আলোচনায় বিচার বিভাগ সংস্কার, দক্ষিণ এশীয় বিদ্যুৎ সংযোগ, সন্ত্রাস দমন, স্বৈরাচারী শাসনামলে বাংলাদেশ থেকে চুরি করা বিপুল পরিমাণ অর্থ পুনরুদ্ধার, আমলাতন্ত্রে সংস্কার এবং শ্রম ইস্যুগুলো বিশেষ গুরুত্ব পায়।
লাফেভ জানান, যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশকে পরামর্শ এবং অন্যান্য সহায়তা দিচ্ছে। তিনি বলেন, চুরি করা অর্থ ফিরিয়ে আনা কঠিন, তবে সম্ভব।
এসময় ড. ইউনূস প্রতিশ্রুতি দেন, তার সরকার শ্রম খাতে বিস্তৃত সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনায় অঙ্গীকারবদ্ধ।
সাক্ষাৎ শেষে লাফেভ জানান, যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে আগামী কয়েক মাসে বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা বাংলাদেশ সফর করবেন।