নিজস্ব প্রতিনিধি:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যেসব সাংবাদিকরা সরাসরি ফ্যাসিস্ট সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে গণহত্যাকে সমর্থন ও বৈধতা দিয়েছে তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত।
রোববার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি থাকা আহত রোগীদের জুলাই শহীদ ফাউন্ডেশনের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, এটি একটি গণহত্যা ছিল। এই ফ্যাসিবাদী সরকারের পক্ষে নানা ধরনের শ্রেণী পেশার মানুষ যেমন ছিল তেমনি সরাসরি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও ছিল। পুলিশকে যেমন দলীয়করণ করা হয়েছে তেমনি সাংবাদিকের ভেতরও ছিল। অনেকে গণহত্যার পক্ষে সরাসরি কথা বলেছেন, বৈধতা দিয়েছেন। আমরা মনে করি সেসব সাংবাদিকদেরও বিচারের আওতায় আনা উচিত। এর বাইরে অন্যায়ভাবে কারও বিরুদ্ধে কোনো মামলা করা হলে, তা খতিয়ে দেখতে তথ্য মন্ত্রণালয়ে কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শীর্ষ এই সমন্বয়ক বলেন, কোনো সাংবাদিক বা তার পরিবার যদি মনে করেন মামলার মাধ্যমে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তাহলে তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমরা তাদের সহযোগিতা করবো।
নাহিদ বলেন, সাংবাদিক-পুলিশ সবাই একই কথা বলছেন- উপরের নির্দেশ ছিল। এই একই কথা সব সেক্টর থেকে বলছে- তাহলে কি সব দোষ একা শেখ হাসিনার ছিল? আর কারো ছিল না? প্রত্যেকে প্রত্যেকের জায়গা থেকে গত ১৬ বছর কি ভূমিকা পালন করেছেন আপনারাও জানেন, আমরাও জানি, দেশের সব মানুষই জানে।
তিনি বলেন, হয়তো এখন মামলাগুলো যথাযথভাবে হচ্ছে না। আমরা আহ্বান জানিয়েছি সরাসরি হত্যা মামলা না দিয়ে যথাযথ অভিযোগ এবং প্রমাণের ভিত্তিতেই যেন মামলা নেয়। সরকারের পক্ষ থেকেও বলেছি যথাযথ অভিযোগের ভিত্তিতেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা চাই না কেউ মব জায়ানের শিকার হোক। আমরা চাই, সবাই যেন ন্যায় বিচার পায়।