নিজস্ব প্রতিনিধি:
ড. মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কেউ-কেউ স্বৈরাচার আওয়ামী লীগকে ঘর গোছানোর জন্য বলেছেন বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তার দাবি, যখন অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো উপদেষ্টা তাদের (আওয়ামী লীগ) নিজেদের ঘর গোছানোর জন্য বলেন, তখন সেটি অত্যন্ত বিপজ্জনক বার্তা।
সোমবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর হাতিরপুল এলাকায় জনগণের মধ্যে ডেঙ্গু সচেতনতা তৈরি করতে লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন তিনি।
যারা এতোদিন এখানে খুন-গুম ও আয়না ঘরের সংস্কৃতি তৈরি করেছিল, তারা যদি পুনর্বাসিত হয় তাহলে দেশে মানুষ বসবাস করতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন রিজভী।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা আরও বলেন, যারা এখন গণতন্ত্রের সুফল ভোগ করছেন, আন্দোলন, জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের ওপর দিয়ে উপদেষ্টা হচ্ছেন, বিভিন্ন পদে যাচ্ছেন; তারা যখন স্বৈরাচার পুনর্বাসনের কথা বলেন, তা সাংঘাতিক বিপজ্জনক বার্তা দেয়।
রিজভী দাবি করেন, হিসাব করে দেখা গেছে দেশে ঋণ রয়েছে ১৮ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা। আর বিদেশে পাচার হয়েছে ১৭ লাখ কোটি টাকা। এতে বোঝা যায় কতবড় দুর্বৃত্তদের শাসন ছিল। সেই দুর্বৃত্তরা পালিয়ে গিয়ে মাঝে-মধ্যে নানাদিক থেকে আওয়াজ তুলছে। শেখ হাসিনা বলছেন— বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আর ১ মাসের বেশি টিকবে না।
রিজভী বলেন, যেসব পুলিশ কর্মকর্তারা মানুষকে গুম-খুন করেছে, মানুষকে পঙ্গু করেছে, তাদের এখনও ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। কাউকে মিরপুর, কাউকে গুলিস্তান, কাউকে গুলশান রাখা হয়েছে। প্রায় দেড় হাজার শিশু-কিশোরের রক্তের ওপর দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। তারা যদি এই পন্থা অবলম্বন করে তাহলে দেশকে এক ভয়ানক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আমরা বিভিন্নভাবে দেখছি, নানা কায়দায় এই সরকার তাদের পুনর্বাসন করছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, কাতারের একজন রাষ্ট্রদূত ছিলেন, তিনি কাতারের কারও মেয়াদ শেষ হলে নবায়ন করতেন না। কারণ মধ্যপ্রাচ্যে যারা থাকতেন তারা অধিকাংশ বিএনপির সমর্থক। তাদের তিনি নানাভাবে হয়রানি করেছেন। তাদের মেয়াদ নবায়ন করতো না, যাতে কাতার সরকার দেশে পাঠিয়ে দিতে পারেন। সেই লোককে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব করা হয়েছে। তাহলে আজকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাদের পুনর্বাসন করছে? যারা জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, শহীদের লাশকে অপবিত্র করছে তাদের? অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. ইউনূসকে এগুলো দেখতে হবে। কারা কাতারের এই রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র সচিব বানাচ্ছে।
এসময় বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক মীর সরফত আলী সপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।