আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইউক্রেনে একটি হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২২ জন। পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির সুমি অঞ্চলের একটি হাসপাতালে অল্প সময়ের ব্যবধানে হওয়া পৃথক হামলায় হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনের সুমিতে একটি হাসপাতালে রাশিয়ার হামলায় ১০ জন নিহত এবং কমপক্ষে আরও ২২ জন আহত হয়েছেন বলে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ইউক্রেনে জাতিসংঘের মানবাধিকার মনিটরিং মিশনের প্রধান ড্যানিয়েল বেল বলেছেন, ৪৫ মিনিটের ব্যবধানে চালানো দুটি হামলায় সেন্ট প্যানটেলিমন ক্লিনিকাল হাসপাতালে “লোটারিং যুদ্ধাস্ত্র” – বা আত্মঘাতী ড্রোন – আঘাত করে।
তিনি বলেন, “দ্বিতীয় দফায় হামলার পর অধিকাংশ প্রাণহানি ঘটেছে। মূলত প্রথম দফায় হামলার পর জরুরি কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন এবং রোগীদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন।”
সুমির আঞ্চলিক প্রশাসন শনিবার গভীর রাতে বলেছে, হামলায় ১০ জন নিহত এবং আরও ২২ জন আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ১৫ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল এবং তাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর। হাসপাতালের সমস্ত রোগীদের অন্য স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সুমি সিটি কাউন্সিল তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, হাসপাতাল ছাড়াও নয়টি উচ্চ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ড্যানিয়েল বেল বলেন, গত ১৯ সেপ্টেম্বর জেরিয়াট্রিক সেন্টারে মারাত্মক হামলার পরে তিনি গত সপ্তাহে সুমিতে গিয়েছিলেন। ওই হামলায় কমপক্ষে একজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত এবং আরও ১৩ জন আহত হয়েছিলেন। এছাড়া গত ১৩ আগস্ট শহরের অন্য একটি হাসপাতাল কমপ্লেক্সে হামলার কথাও এসময় স্মরণ করেন তিনি।
গত ৬ আগস্ট থেকে সুমি শহর এবং আশপাশের অঞ্চলে এই ধরনের হামলায় ৩৩ জন বেসামরিক লোক নিহত এবং আরও ১৩২ জন আহত হয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, “চিকিৎসা অবকাঠামোগুলো আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে সুরক্ষিত এবং বিশেষ সুরক্ষা পেয়ে থাকে। অবশ্যই এসব অবকাঠামো আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হতে পারে না।”
ইউক্রেনের প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, শনিবার সকালে হামলার সময় হাসপাতালে ৮৬ জন রোগী এবং ৩৮ জন স্বাস্থ্যকর্মী ছিলেন।