আন্তর্জাতিক ডেস্ক
হামাসের সঙ্গে জিম্মি চুক্তিতে পৌঁছাতে নেতানিয়াহু সরকারকে চাপ দেওয়ার প্রচেষ্টায় ইসরায়েলে বিক্ষোভ করেছেন বিক্ষোভকারীরা। রবিবার (৭ জুলাই) সকালে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। এসময় সড়ক অবরোধ এবং সরকারি মন্ত্রীদের বাড়ির সামনে পিকেটিং করেন তারা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
ইসরায়েলি মিডিয়া অনুসারে, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের করা হামলার সময়ের সঙ্গে মিল রেখে স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ২৯ মিনিটে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ চলাকালীন শহরের ব্যস্ত সময়ে সারাদেশের প্রধান প্রধান মোড়গুলোতে সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। দেশটির প্রধান তেল আবিব-জেরুজালেম মহাসড়কে কিছুক্ষণের জন্য টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেন তারা। পুলিশ পৌঁছালে সেখান থেকে সরে ান।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নয় মাস যুদ্ধের পর সাম্প্রতিক দিনগুলোতে গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার একটি চুক্তির প্রচেষ্টা গতি পেয়েছে। তবে উভয় পক্ষের মধ্যে আরও কিছু বিষয় অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
মাইক ও ব্যানার হাতে ছোট ছোট দলগুলোও বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও জোটের আইনপ্রণেতাদের বাড়ির বাইরে বিক্ষোভ করেন। নেতানিয়াহুর অভ্যন্তরীণ জোটের সদস্য ক্যাবিনেট মন্ত্রী রন ডার্মারের বাড়ির বাইরে বিক্ষোভকারীদের একটি ছোট ভীড় চিৎকার করে বলেন, ‘পূর্ণ ব্যর্থতা! পূর্ণ ব্যর্থতা!’
গাজার সীমান্তের কাছে অর হ্যানারের কিবুতজে ৭ অক্টোবরের হামলায় নিহত প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য একটি করে কালো বেলুন এবং গাজায় এখনও জিম্মি রয়েছেন এমন প্রতিটি ব্যক্তির জন্য একটি করে হলুদ বেলুন ঝুলিয়েছিল বিক্ষোভকারীরা।
তবে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন কিছু ইসরায়েলি। তারা উল্টো প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারকে চুক্তি প্রত্যাখ্যান করার এবং দেশের সব উদ্দেশ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ায় শুরু করা পাল্টা হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের মতে, হামাসের ওইদিনের হামলায় এক হাজার ২০০ ফিলিস্তিনি নিহত হন। এসময় আরও প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় সশস্ত্র যোদ্ধারা।