স্পোর্টস ডেস্ক
শিরোনাম দেখে প্রশ্ন জাগতে পারে টেনিসের তারকা আবার ফুটবল মাঠে গেলেন কী করে! ব্যাপারটা আসলে তেমন নয়। গতকাল ইউরোয় ইংল্যান্ডের টাইব্রেকার জয়ের মুহূর্তটি অল ইংল্যান্ড ক্লাবের সেন্টার কোর্টে কিছুটা সময়ের জন্য প্রভাব ফেলেছিল! যার বিজ্ঞাপন হয়ে যান নোভাক জোকোভিচ।
উম্বলডনের তৃতীয় রাউন্ডে সার্বিয়ান তারকার মুখোমুখি হয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যালেক্সি পপরিন। দ্বিতীয় সেটে জোকোভিচ ৪-১ এ এগিয়ে। ঠিক তখনই কোয়ার্টার ফাইনালে সু্ইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের টাইব্রেকার জয়ের আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে পুরো সেন্টার কোর্টে। জাতীয় দল জার্মানিতে সেমিফাইনালের টিকিট কাটায় স্বাগতিক দর্শকদের উল্লাস আর করতালিতে বোঝার উপায় নেই এটা টেনিস কোর্ট নাকি ফুটবল মাঠ! ম্যাচ বন্ও থাকে কিছুক্ষণ। জোকোভিচ তাৎক্ষণিক উপস্থিত দর্শকদের অনুভূতিটা বুঝতে পেরে পেনাল্টি নেওয়ার মতো ভঙ্গিতে ছায়া কিক নিয়ে তাদের আনন্দটা আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন। তার প্রতিপক্ষ পপরিন তখন হয়ে যান গোলরক্ষক! সেই শট সেভ করার ভঙ্গি করেন এই অস্ট্রেলিয়ানও।
ম্যাচ জয়ের পর সেই মুহূর্তের ব্যাখ্যাও দেন জোকোভিচ, ‘যতটুকু বুঝতে পারি তখন বোধহয় ইংল্যান্ড-সুইজারল্যান্ডের শুটআউট চলছিল। মনে হচ্ছিল উপস্থিত দর্শকরা ম্যাচের স্কোর জানার চেষ্টা করছে। ইংল্যান্ড কি জিতেছে? আমার মনে হয় জেতার কারণেই দর্শকরা শেষ পর্যন্ত ছিল। অভিনন্দন ইংল্যান্ড।’
পেনাল্টি নেওয়ার মতো ছায়া কিক নেওয়ার বিষয়ে জোকোভিচ রসিকতা করে বলেছেন, ‘আমিও পেনাল্টি কিক নেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমি বাম পায়ে শট নেই। কিন্তু অ্যালেক্সি ভালো মতোই সেটা ডিফেন্ড করেছে।’
অস্ট্রেলিয়ার পপরিনের সঙ্গে লড়াইটা শুরুতে জমে উঠেছিল জোকোভিচের। প্রথম সেটে ৪-৬ গেমে হারলেও পরের সেটগুলো জিতে নেন ৬-৩, ৬-৪, ৭-৬ (৭-৩) গেমে। ২৫তম গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের পথেই আছেন এই সার্বিয়ান। তাতে ৬৫তম বারের মতো মেজর টুর্নামেন্টে শেষ ষোলোর টিকিট কেটেছেন। কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিতের লড়াইয়ে র্যাঙ্কিংয়ের দুই নম্বর জোকোভিচের প্রতিপক্ষ ১৫তম বাছাই হোলগার রুন।