Tuesday , January 14 2025

জীবনবীমা নিয়ে সংশয়ে ইবি কর্মকর্তারা

ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন বীমা নিয়ে সংশয়ে পড়েছেন কর্মকর্তাদের একাংশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের এনিয়ে নতুন করে দেখা দিয়েছে অস্পষ্টতা। হঠাৎ পুরনো চুক্তিবদ্ধ বীমা বদলে নতুন এ চুক্তি নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই গেছে বলে প্রশ্ন তুলেছে অনেকে। তবে বিষয়টি সবার মঙ্গলার্থে করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তা সমিতি। এ বিষয়টি প্রশাসন ও কর্মকর্তাদের যৌথ সিদ্ধান্ত বলে দাবি বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রারের।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তারা জীবনবীমা নিশ্চিত করতে দীর্ঘদিন যাবত চুক্তিতে ছিলেন ডেল্‌টা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানী লিমিটেড। সম্প্রতি জীবনবীমার পলিসি পরিবর্তন করে এই কোম্পানী। তারপর থেকেই চুক্তি বাতিল করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে।

সংশ্লিষ্টদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সুইরেন্স পর্যবেক্ষণ ও চুক্তি বিষয়টি দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও সংস্থাপন শাখার কয়েকজন কর্মকর্তারা। সম্প্রতি নিয়মের মধ্যে থেকেই ডেল্‌টা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানী লিমিটেড থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে ডাকা হয় কয়েকটি ইন্সুইরেন্স কোম্পানীকে। পরে সুযোগ সুবিধা ও কর্মকর্তাদের ভবিষ্যত স্বার্থে যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এর সাথে চুক্তিবদ্ধ করা হয়।

এ বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন কয়েকজন কর্মকর্তা। তাদের দাবি, কর্মকর্তাদের বর্তমান ও ভবিষ্যত নিয়ে কোন বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হলে সাধারণ সভাতে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। কিন্তু কিভাবে ইন্সুইরেন্স কোম্পানী বদলে গেলো এ বিষয়ে আমরা সিংহভাগ কর্মকর্তাই অবগত না। এটা কর্মকর্তা সমিতির বর্তমান কমিটি নিজের ইচ্ছামতো চুক্তি করেছে।

এ বিষয়ে কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হাসান মুকুট বলেন, ‘প্রশাসন প্রশাসনের মতো চুক্তি বাতিল করে নতুন কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। আমরা ডেল্টার (ইন্সুইরেন্স) কোম্পানির সাথে বারংবার চুক্তি রাখতে চেয়েছি। আমাদের রেজিস্ট্রার মহোদয় চেষ্টা করেছেন এবং তাদের সাথে কথা বলেছেন। কিন্তু ডেল্টা চুক্তি রাখতে চাইনি, পলিসি পরিবর্তন করেছে।

তিনি বলেন, ‘আমার মতে নতুন ইন্সুইরেন্স কোম্পানী পূর্বেরটার চেয়ে ভালো হবে। কর্মকর্তারা এতে পূর্বের চেয়ে বেশি সুবিধা পাবে বলে প্রত্যাশা করছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি টিপু সুলতান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও সংস্থাপন শাখাতে ইন্সুইরেন্স দেখাশোনা করার জন্য আলাদা লোক আছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তারা বলতে পারবে। এটা একটি প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, ‘আমি শুধু আদেশ বাস্তবায়ন করতে পারি। আমাকে উপর থেকে যে আদেশ দেওয়া হয়েছে আমি সেই অনুযায়ী কাজ করেছি। এখানে আমার কিছু করার নেই। কর্মকর্তা সমিতি ও প্রশাসন চাইলে পূর্বের চুক্তিতেও ফিরে যেতে পারে, চাইলে নতুন চুক্তিও করতে পারে।’

About somoyer kagoj

Check Also

প্রাথমিকে পোষ্য কোটা বাদ, মেধার ভিত্তিতে ৯৩ শতাংশ শিক্ষক নিয়োগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯৩ শতাংশ শিক্ষকই মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *