স্পোর্টস ডেস্ক:
চলতি বছর অক্টোবরে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক বাংলাদেশ। সেই প্রস্তুতির লক্ষ্যে ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে নিগার সুলতানার দল। তবে একের পর এক ম্যাচে বাংলাদেশ নারী দলের ব্যাটিং ব্যর্থতায় ফুটে উঠেছে স্বাগতিক দলের আসল চিত্র। ৫ ম্যাচের ৫টিতেই হেরে সিরিজে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ নেয় বাংলাদেশ দল। বৃহস্পতিবার সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে ভারতের কাছে ২১ রানে হেরেছে টাইগ্রেসরা। সিরিজের প্রথম চার ম্যাচ যথাক্রমে- ৪৪ রানে, বৃষ্টি আইনে ১৯ রানে, ৭ উইকেটে এবং বৃষ্টি আইনে ৫৬ রানে হেরেছিলো নিগার সুলতানার দল।
ভারত সিরিজের আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও তেমন কিছু করতে পারেনি বাংলাদেশ। স্বাভাবিকভাবেই ঘরের মাঠে পরপর হওয়া বড় এই দুই দলের সঙ্গে সিরিজ জয়ের প্রত্যাশা হয়তো বাংলাদেশের ছিল না। তবে বাংলাদেশ নারী দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ঘিরে হতাশাটা মূলত তাদের খেলার ধরনের কারণেই। ন্যূনতম লড়াইটাই যে করতে পারেনি নিগার সুলতানার দল। ব্যাটিংয়ে টপ অর্ডার থেকে রান আসছে না, মিডল অর্ডারও ধারাবাহিক নয়। বোলিং-ও মেটাতে পারছে না প্রত্যাশা।
অথচ ভারতকে হারিয়েই টি-টোয়েন্টির এশিয়া কাপ জিতেছিল বাংলাদেশ। এই সিরিজের আগে শ্রীলঙ্কা, ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে টানা চার সিরিজে অন্তত ১টি করে ম্যাচ জিতেছিল টাইগ্রেসরা। পাকিস্তানের বিপক্ষে তো জিতেছিলেন বাংলাদেশের মেয়েরাই। সেই বাংলাদেশ দলের এভাবে ছন্দপতনের কারণ জানতে চাওয়া হয়েছিল বিসিবি নারী বিভাগের প্রধান হাবিবুল বাশারের কাছে।
বাশার জানান, ‘আমি দুইটি সিরিজ দেখলাম। আগের ও বর্তমান দল নিয়ে স্টাডি করে যেটা বুঝতে পারলাম, দলটা একটা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই দলে ছয় থেকে সাতজন কম বয়সী খেলোয়াড় আছে। তারা ভালো খেলোয়াড়, কিন্তু বড় দলের বিপক্ষে চাপ নেওয়ার মতো মানসিক সক্ষমতা তৈরি হয়নি। চাপ নেওয়ার সক্ষমতা গড়ে ওঠেনি। যেটার প্রভাব পড়ছে মাঠের পারফরম্যান্সে।’
নারী ক্রিকেটে তেমন বিকল্প না থাকায় আফসোস আছে বাশারের। তাই চাইলেই খেলোয়াড় পরিবর্তন করার সুযোগ থাকে না। তারপরেও সিনিয়র কিছু ক্রিকেটার বাদ দিয়ে এবার অনেকটা তরুণ দলই গড়েছিলেন তারা। বাশার জানান, ‘আমি নির্বাচকদের সঙ্গে বসব। তাদের নিশ্চয়ই পরিকল্পনা আছে। দেখি তাদের পরিকল্পনা কী। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, সিনিয়র-জুনিয়রের মিশ্রণে দল হলে ভালো। মিশ্রণ থাকা দলগুলোই সবসময় ভালো করে।’