নিজস্ব প্রতিবেক:
প্রতিবারের মতো এবারও বোরো মৌসুমে ধান ও চাল কিনবে সরকার। ৭ মে ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রম চালু হবে। অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ৩২ টাকা দরে ৫ লাখ টন বোরো ধান, ৪৫ টাকা দরে ১১ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও ১ লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহ হবে। সব মিলিয়ে আসন্ন বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ১৭ লাখ টন ধান ও চাল কিনবে সরকার।
রোববার সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সভাপতিত্বে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে খাদ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। একই সঙ্গে ৩৪ টাকা দরে ৫০ হাজার টন গম কেনারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিটি।
গত বছর ধানের সংগ্রহমূল্য ছিল ৩০ টাকা ও চালের সংগ্রহ মূল্য ছিল ৪৪ টাকা। ৭ মে থেকে ধান-চাল কেনা শুরু হবে, সংগ্রহ ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে বলেও জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) গতকাল শনিবারের হিসাবে, ঢাকার বাজারে এখন এক কেজি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকায়। মাঝারি চাল ৫৫ থেকে ৫৮ এবং সরু চাল জাতভেদে ৬৫ থেকে ৭৬ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এক মাস আগের তুলনায় চালের দাম ২ থেকে ৫ শতাংশ বেড়েছে।
দেশে ২০২০ সাল থেকেই চালের দাম বাড়তি। ওই বছরের শুরুতে মোটা চালের কেজি ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। এরপর বিভিন্ন সময় চাল আমদানি হয়েছে, আমদানির জন্য শুল্ক-কর কমানো হয়েছে, বাজারে অভিযান হয়েছে, দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে—কোনো কিছুই দাম কমাতে পারেনি।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে চালের সরকারি মজুত ছিল ৮ লাখ ৭৭ হাজার টনের বেশি। দেশে ধান আবাদের মৌসুম তিনটি—বোরো, আমন ও আউশ। বোরো মৌসুমে প্রায় ২ কোটি টন চাল উৎপাদিত হয়, যা মোট উৎপাদনের ৫০ শতাংশের বেশি।
ইউএসডিএর পূর্বাভাস অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২০২৪-২৫ বিপণন বর্ষে তিন মৌসুম মিলিয়ে ৩ কোটি ৭৮ লাখ টন চাল উৎপাদিত হতে পারে, যা আগের বিপণন বর্ষের চেয়ে ৭ লাখ টন বেশি।