আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পাপুয়া নিউ গিনিতে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে এখন পর্যন্ত পাঁচজনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রিখটার স্কেলে ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৯। স্থানীয় কর্মর্তারা সোমবার জানিয়েছেন, ওই ভূমিকম্পে পাঁচজন নিহত এবং প্রায় এক হাজার বাড়ি-ঘর ধ্বংস হয়ে গেছে।
দেশটির সেপিক নদীর তীরে অবস্থিত বেশ কিছু গ্রামে আকস্মিক বন্যা আঘাত হেনেছে। এর মধ্যেই সেখানে ভূমিকম্প আঘাত হানলো।
ইস্ট সেপিকের গভর্নর অ্যালান বার্ড বলেন, এখন পর্যন্ত প্রায় এক হাজার বাড়ি-ঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। ওই প্রদেশের বেশিরভাগ অঞ্চলই ভূমিকম্পে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জরুরি বিভাগের কর্মীরা ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়ণ করছেন।
প্রাদেশিক পুলিশ কমান্ডার ক্রিসটোফার তামারি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ভূমিকম্পের পর কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যু খবর রেকর্ড করেছে। তামারি সতর্ক করে বলেছেন, জরুরি বিভাগের কর্মীরা এখনও দুর্গম এলাকায় প্রবেশ করতে পারেনি। তাই নিহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বেশ কিছু ফুটেজে দেখা গেছে কাঠের বাড়ি-ঘর ভেঙে পড়ে আছে। অনেক বাড়ি-ঘরের ছাদ উড়ে গেছে। এদিকে আঞ্চলিক গভর্নর জানিয়েছেন, ইতোমধ্যেই আঘাত হানা বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে জরুরি ওষুধ, বিশুদ্ধ খাবার পানি এবং অস্থায়ী আশ্রয়ের প্রয়োজন।
এদিকে পুরো দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টায় সহায়তা করার জন্য ১৩০ মিলিয়ন ডলার জরুরি তহবিল প্যাকেজ অনুমোদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপে।
রোববার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, পাপুয়া নিউ গিনি সাম্প্রতিক সময়ে ভূমিকম্প, ভারী বৃষ্টির কারণে বন্যা এবং এর ফলে ভূমিধস, প্রবল বাতাস এবং অন্যান্য কারণে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গত সপ্তাহেই পাপুয়া নিউ গিনির (পিএনজি) পার্বত্য এবং উপকূলীয় অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টি এবং আকস্মিক বন্যায় রাস্তা, বাড়িঘর এবং কৃষি জমি প্লাবিত হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সৃষ্ট বিভিন্ন দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এক সপ্তাহের কম সময়ের ব্যবধানে সেখানে আবার ভূমিকম্পের আঘাত লোকজনের মধ্যে আতঙ্কের জন্ম দিয়েছে।