স্টাফ রিপোর্টার
কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নে শশুর বাড়ীর নির্যাতনে এক গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ করেছে তার পরিবার।
জানাযায়, কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের মৃত জামালের মেয়ের সাথে ৬ বছর আগে একই উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বাবুল হোসেনের ছেলে রাব্বি (২৯) এর সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয় । তাদের পরিবারে ৪ বছর ও ৭ মাস বয়সের দুটি ছেলে সন্তান আছে। গত ১৪ ই ফেব্রুয়ারী বুধবারে হঠাৎ রাব্বি কিছু না জানিয়ে ২য় স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসে এবং প্রথম স্ত্রীর উপর নির্যাতন শুরু করে। অতিরিক্ত নির্যাতনের ফলে প্রথম স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পরলে ১৬ ই ফেব্রুয়ারী সকালে প্রথম স্ত্রীর পরিবারকে জানালে তারা দ্রুত এসে গৃহবধূকে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে । তিন দিন আসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার পরে গত কাল আনুমানিক সন্ধ্যা ৭ টার সময় মৃত্য বরন করে।
কুমারখালী থানার অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, ১৬ ই ফেব্রুয়ারী গৃহবধূর মামা জনাব আলী শেখের ছেলে মো: আব্দুর রশীদ বাদি হয়ে কুমারখালি থানায় অভিযোগ পত্র জমা দেন। অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের মৃত জামালের মেয়ের সাথে একই উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বাবুল হোসেনের ছেলে রাব্বি (২৯) এর সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয় ৬ বছর আগে। তাদের পরিবারে ৪ বছর ও ৭ মাস বয়সের দুটি ছেলে সন্তান আছে। দুই মাস আগে রাব্বি (২৯) দ্বিতীয় বিবাহ করে এবং তার প্রথম স্ত্রীর উপর যৌতুকের দাবি করে নির্যাতন শুরু করে। স্ত্রীর পরিবার যৌতুক দিতে রাজি না হওয়ায় বাবুল হোসেনের ছেলে রাব্বি (২৯), বাবুল হোসেনের স্ত্রী মোছা: নাজমা খাতুন (৫০) ও বাবুল হোসেন (৫৫) গৃহবধূর উপরে অত্যাচার শুরু করে। ১৪ ই ফেব্রুয়ারী বুধবারে হঠাৎ রাব্বি কিছু না জানিয়ে ২য় স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসে এবং প্রথম স্ত্রীর উপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। অতিরিক্ত নির্যাতনের ফলে গৃহবধূ অসুস্থ হয়ে পরলে ১৬ ই ফেব্রুয়ারী সকালে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে এবং প্রথম স্ত্রীর পরিবারকে জানায়।
গ্রহবধূর মা শাহানারা জানান, ছয় বছর আগে আমার মেয়ের সাথে রাব্বির বিয়ে হয়, আমি ঢাকা গার্মেন্টসে চাকুরী করি ২০ হাজার টাকা বেতনের এই টাকা থেকে আমার মেয়ের শুখের জন্য রাব্বির সকল আবদার পূরন করার চেষ্টা করি, কিন্তু দুই মাস আগে রাব্বি দ্বিতীয় বিয়ে করে এবং রাব্বির চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় আমি কোন কিছু দিতে অপারগতা জানাই, যার কারনে রাব্বি ১৪ ই ফেব্রুয়ারী দ্বিতীয় স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসে। অতপর রাব্বি ও তার পরিবার আমার মেয়ের উপর অমানুষিক অত্যার করে অচেতন অবস্থায় আমাকে খবর দিলে আমি দ্রুত এসে মেয়েকে সাথে নিয়ে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি। তিন দিন অচেতন অবস্থায় থাকার পরে আমার মেয়ে মৃত্যু বরন করেছে। আমি আমার মেয়ে হত্যার সঠিক বিচার চাই।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: তাপস কুমার সরকার জানান, ময়নাতদন্তের পরে মৃত্যুর কারন জানা যাবে।
কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ
এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি ছুটিতে আছি বিষয়টি আমার জানা নাই।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে আছে।