Saturday , January 18 2025

পিএসএল: আফ্রিকান ঝড়ে মুলতানের শুরু

স্পোর্টস ডেস্ক:

পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) গত মৌসুমে তীরে গিয়ে তরি ডুবিয়েছিল মুলতান সুলতান্স। এবার দুঃখ ঘোচানোর মিশনে শুরুটা দারুণ হলো তাদের। রোববার রাতে মুলতানে করাচি কিংসকে উড়িয়ে দিয়েছে তারা; মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল জিতেছে ৫৫ রানের বড় ব্যবধানে। এই জয়ে প্লে-পর্বের টিকিটের দৌড় শুরু করল মুলতান।

মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন করাচি কিংস অধিনায়ক শন মাসুদ। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত কুড়ি ওভারে দুই উইকেটে ১৮৫ রানের বড় সংগ্রহ তোলে মুলতান সুলতান্স। জবাবে আট উইকেটে ১৩০ রান তুলতে সক্ষম হয় করাচি কিংস। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের সুবাদে অবধারিতভাবেই ম্যাচ সেরা হয়েছেন রিজা হেন্ড্রিক্স।

মুলতান বড় সংগ্রহ পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার এই ব্যাটারের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের সুবাদে। ৫৪ বলে সাতটি চার ও তিন ছক্কায় ৭৯ রানে অপরাজিত থাকেন হেন্ড্রিক্স। চারে নামা খুশদিল শাহ ১৩ বলে চারটি চারের সুবাদে অজেয় ছিলেন ২৮ রান। অধিনায়ক ও ওপেনার রিজওয়ান ফেরেন ১২ বলে স্রেফ ১১ রানে। ৪১ বলে ৫২ রান করেন ডেউইড মালান।

কঠিন লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০ রানের মধ্যে দুই উইকেট হারায় করাচি কিংস। শুরুর এই ধাক্কা আর সামলে নিতে পারেনি তারা। একদিকে উইকেট ধরে রাখার চাপ অন্যদিকে দ্রুত রান তোলার তাড়না- এই দুইয়ে মিলে শেষ হয়ে গেছে করাচি। এক প্রান্ত আগলে রেখে কিছুটা লড়াই করেছেন পাকিস্তানি ‘বুড়ো’ অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক।

৩৫ বলে পাঁচটি চার ও দুই ছক্কায় ৫৩ রানে আউট হন শোয়েব। অধিনায়ক মাসুদ ৩১ বলে করেন ৩০ রান। কাইরেন পোলার্ড ২৯ বলে ২৮ রানে অপরাজিত থাকেন। এই দুজন অমন মন্থর ব্যাটিং না করলে অন্তত কিছুটা হলেও লড়াই করতে পারতো করাচি কিংস। দলের বাকি সাত ব্যাটার মিলে করেছেন ১২ রান! পাঁচজন খুলতে পারেননি রানের খাতা।

করাচি কিংসের পতন হওয়া উইকেটের সর্বোচ্চ তিনটি নিয়েছেন মোহাম্মদ আলি। দুটি করে শিকার ডেভিড উইলি ও আব্বাস আফ্রিদির। পক্ষান্তরে মুলতানের উইকেট দুটি নিয়েছেন মির হামজা ও ড্যানিয়েল সামস।

About somoyer kagoj

Check Also

সিনিয়রদের অনুপস্থিতি তরুণদের মেলে ধরার সুযোগ: মিরাজ

স্পোর্টস ডেস্ক:২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথমবার টেস্ট সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *