স্পোর্টস ডেস্ক:
সবশেষ ম্যাচে ছিলেন না কিলিয়ান এমবাপ্পে। ইনজুরি সারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লীগের ম্যাচ দিয়ে ফিরলেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। প্রত্যাবর্তনে করলেন গোল, গড়লেন ‘ট্রিপল’ রেকর্ড এবং জেতালেন লা প্যারিসিয়ানদের। বুধবার পার্ক দেস প্রিন্সেসে এমবাপ্পের নৈপুণ্যে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে রিয়াল সোসিয়েদাদকে ২-০ গোলে হারায় পিএসজি। ঘরের মাঠে নিষ্প্রভ প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে জ্বলে ওঠেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ৫৮তম মিনিটে পিএসজিকে এনে দেন লিড। এতেই রেকর্ড হয় ফরাসি ফরোয়ার্ডের। চ্যাম্পিয়নস লীগ ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ঘরের মাঠে টানা ১০ ম্যাচে গোল (মোট ১৩ গোল) করলেন তিনি। চ্যাম্পিয়নস লীগে এটি এমবাপ্পের ৪৪তম গোল। এতে ২৫ বছর কিংবা তার চেয়ে কম বয়সে দ্বিতীয় সর্বাধিক ইউসিএল গোলের মালিক হয়ে গেলেন বিশ্বকাপজয়ী তারকা।
পেছনে ফেললেন রিয়াল মাদ্রিদ কিংবদন্তি রাউল গঞ্জালেসকে (৪৩)। ২৫ বছর বয়সে চ্যাম্পিয়নস লীগে সর্বোচ্চ ৫৯ গোল করেছিলেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি। চলতি মৌসুমে সবমিলিয়ে ৩০ ম্যাচ খেলে ৩৮ গোলে অবদান (৩১ গোল এবং ৭ অ্যাসিস্ট ) রাখলেন এমবাপ্পে। ইউরোপের পাঁচ শীর্ষ লীগের মধ্যে ফরাসি ফরোয়ার্ডের চেয়ে বেশি গোলে অবদান রাখতে পারেনি আর কেউ।
এমবাপ্পের এক গোলে তিন রেকর্ড গড়ার পর ৭০তম মিনিটে পিএসজিকে ২-০ গোলের জয় এনে দেন ফরাসি ফরোয়ার্ড ব্র্যাডলি বারকোলা। ঘরের মাঠে ম্যাচ জুড়ে আধিপত্য দেখায় পিএসজি। ৬৩ শতাংশ বল দখলে রেখে ১৪টি শটের ৬টি লক্ষ্যে রাখে লা প্যারিসিয়ানরা। বিপরীতে ৩৭ শতাংশ বল দখলে রাখা রিয়াল সোসিয়েদাদ ৯টি শট নেয়। এর মধ্যে লক্ষ্যে থাকেনি একটিও। এতে পিএসজির একটি পুরনো রেকর্ডের পুনরাবৃত্তি হয়। এনিয়ে মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লীগের নকআউট পর্বের ম্যাচে পিএসজির বিপক্ষে কোনো দল অন টার্গেটে কোনো শট নিতে পারেনি। সবশেষ এমনটি হয়েছিল ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে, রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ম্যাচে। আগামী ৫ই মার্চ চ্যাম্পিয়নস লীগের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে রিয়াল সোসিয়েদাদের আতিথ্য নেবে পিএসজি। কোয়ার্টারে যেতে লা প্যারিসিয়ানদের কমপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে হারাতে হবে সোসিয়েদাদের। গোল শূন্য ড্র করলেই শেষ আটে পৌঁছাবে পিএসজি।