স্পোর্টস ডেস্ক:
চলতি মৌসুম শেষে লিভারপুল ছাড়বেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। শুক্রবার রাতে ঘোষণাটি দেন এই জার্মান কোচ। মাস্টারমাইন্ড ক্লপের সিদ্ধান্তে হতাশ ম্যানচেস্টার সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা। একইসঙ্গে স্প্যানিশ কোচ বললেন, ক্লপের সিদ্ধান্তে আনন্দিতও তিনি!
২০১৫ সালের অক্টোবরে লিভারপুলের দায়িত্ব নেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। ৩০ বছরের খরা কাটিয়ে তার কোচিংয়েই ২০১৯-২০ মৌসুমে লীগ শিরোপা জেতে অলরেডরা। তার আগের মৌসুমে তারা ঘরে তোলে চ্যাম্পিয়নস লীগ শিরোপা। চলতি মৌসুমেও ছন্দ দেখাচ্ছে ক্লপের লিভারপুল। ক্লাবকে ভালো অবস্থানে রেখেই দায়িত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ। জার্মান কোচের চাকরি ছাড়ার খবর প্রকাশের রাতেই ইংলিশ এফএ কাপের চতুর্থ রাউন্ডে টটেনহ্যাম হটস্পারকে ১-০ গোলে হারায় ম্যানচেস্টার সিটি। সেই ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে লিভারপুল কোচ ক্লপের বিষয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হন সিটি বস গার্দিওলা।
স্প্যানিশ কোচ বলেন, ‘এই খবরে কিছুটা ধাক্কা খেয়েছি। সে একজন দুর্দান্ত কোচ। সে একজন অসাধারণ মানুষও। সবাই তাকে মিস করবে। ব্যক্তিগতভাবে আমি তাকে মিস করব।’
এরপর মজার ছলে গার্দিওলা বলেন, ‘আমি আনন্দিতও। কারণ সে না থাকায় লিভারপুলের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আমি আরেকটু আরামে ঘুমাতে পারব। আমি তাকে শুভ কামনা জানাই।’
ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের চলতি মৌসুমে শীর্ষে রয়েছে লিভারপুল। এফএ কাপের চতুর্থ রাউন্ডে পৌঁছা অলরেডরা নিশ্চিত করেছে কারাবাও কাপের ফাইনাল। দুর্দান্ত ছন্দে থাকার পরও কেন লিভারপুলের দায়িত্ব ছাড়ছেন ইয়ুর্গেন ক্লপ? ক্লাবের ওয়েবসাইটে ৫৬ বছর বয়সী এই কোচ বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি, এই খবর শুনে অনেকেই চমকে যাবেন। তবে অবশ্যই আমি এই সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করতে পারি, অন্তত ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করতে পারি। এই ক্লাবের সবকিছুই আমি ভালোবাসি। এই শহরও ভালোবাসি। সমর্থক, দল, স্টাফ- সবাইকে ভালোবাসি। কিন্তু তারপরও এমন সিদ্ধান্ত নেয়ায় বুঝতেই পারছেন আমি সত্যিই এটা চাই।’
ইয়ুর্গেন ক্লপের কোচিংয়ে সব বড় শিরোপাই জিতেছে লিভারপুল। ২০১৯ সালে চ্যাম্পিয়নস লীগ জয়ের পাশাপাশি তারা ঘরে তোলে উয়েফা সুপার কাপ ও ক্লাব বিশ্বকাপ শিরোপা। পরের মৌসুমে পায় কাঙ্ক্ষিত প্রিমিয়ার লীগ জয়ের স্বাদ। ২০২১-২২ মৌসুমে লিভারপুল জেতে ঘরোয়া ডাবল- লীগ কাপ ও এফএ কাপ। ক্লপ বলেন, ‘কীভাবে বোঝাবো যে, আমার দম ফুরিয়ে আসছে। এখন কোনো সমস্যা নেই। জানতাম যে, একটা সময় আমাকে এই ঘোষণাটা দিতে হবে। এখন আমি পুরোপুরি ভালো আছি। তবে এটা জানি যে, একই কাজ আমি বারবার করতে পারব না।’
ক্লপের দম ফুরিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে গার্দিওলা বলেন, ‘অনেক দিন কাজ করলে সব কোচই এটা (ক্লান্তি) অনুভব করে। এটা পুরোপুরি বুঝতে পারি।’