স্পোর্টস ডেস্ক:
ইউরোপের পাট চুকিয়ে পিএসজি থেকে গত বছরের জুন মাসে ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি। নিঃসন্দেহে তার এই সাইনিং মেজর লিগ সকারের শ্রেষ্ঠ সাইনিং।
যার প্রভাব দেখা গেছে মাঠে ও মাঠের বাইরে। একটি দুর্বল দল অর্থনৈতিক ও খেলার দিক থেকে অনেক এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র কারণ মেসিই।
যুক্তরাষ্ট্রে মেসি আসার পর শুধু ইন্টার মায়ামি নয়, বরং মেজর সকার লিগের জনপ্রিয়তা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে। শুধু তাই নয় ব্র্যান্ড ভ্যালুও বাড়তে থাকে তাদের। পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থেকে ডেভিড বেকহ্যামের যে ক্লাবটি স্ট্রাগল করে যেত, সেই ক্লাবের গড় মূল্য দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ডলার! মেসির কারণে যার পরিমাণ এখনও বেড়েই চলছে।
শুধু খেলার বাইরে নয়, বরং খেলাতেও নিজের যোগ্যতার জানান দিয়ে গেছেন মেসি। অভিষেক ম্যাচে ক্রুস আজুলের বিপক্ষে ফ্রি-কিক থেকে দুর্দান্ত এক গোল করে শুরুটা হয় আর্জেন্টাইন এই ফরোয়ার্ডের। এরপর দলকে জেতান লিগস কাপ, যেটি তাদের ইতিহাসে প্রথম কোনো শিরোপা। এই পর্যন্ত ক্লাবটির হয়ে ১৪ ম্যাচ খেলে মেসি করেছেন ৫ গোল; সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ১১ গোল।
যদিও এমএলএসের প্লে অফে যেতে পারেনি মায়ামি। তবে মেসি যে তার ছাপ রেখে গেছেন তা প্রমাণ হয় টেবিলের তলানি থেকে ক্লাবের উপরের দিকে ওঠা। বিশেষজ্ঞদের মতে ইন্টার মায়ামি এখন মেজর লিগ সকারের তৃতীয় ধনী ক্লাব। মেসি আসার পর ক্লাবের আয় ৫৫ মিলিয়ন ডলার থেকে এক মৌসুমে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৭ মিলিয়ন ডলারে!
মেসি যে মায়ামিতে যোগ দিয়েই থেমেছেন তা নয়, বরং তিনি তারকা ফুটবলারদের নিজের ক্লাবে টানছেন। যোগ দেওয়ার পর সের্হিও বুসকেতস, জর্দি আলবার পর এবার এনেছেন লুইস সুয়ারেজকে। বার্সেলোনায় রাজত্ব করা ফুটবলারদের নিজের ক্লাবে ভিড়িয়ে মায়ামিকে এক শক্তিশালী দলে পরিণত করতে যাচ্ছেন আর্জেন্টাইন এই সুপারস্টার।
বলাই যায়, মেসির সঙ্গে চুক্তি করা ডেভিড বেকহ্যামের জন্য সবচেয়ে বড় সাফল্য। মেজর লিগ সকারের অর্থনৈতিক র্যাংকিং বলছে ১ বিলিয়ন ডলার ব্র্যান্ড ভ্যালুর রেকর্ড ভেঙে মায়ামি এখন লিগের তৃতীয় ধনী ক্লাব। মেসি আসার পর ক্লাবটির এই ভ্যালু বেড়েছে ৭৪ শতাংশ! ধারণা করা যাচ্ছে সর্বোচ্চ ব্র্যান্ড ভ্যালু ১.১৫ বিলিয়ন ডলার নিয়ে শীর্ষে থাকা লস অ্যাঞ্জেলস এফসিকে দ্রুতই ছাড়িয়ে যাবে মায়ামি।
গত মৌসুমে নানা কারণে খুব বেশি ম্যাচ খেলা হয়নি মেসির। ২০২৪ সালে এসে নিজেকে প্রস্তুত করছেন তিনি, গত মৌসুমে ক্লাবের এই সাফল্য আরও বাড়ানোর জন্য তৈরি হচ্ছেন। বিশ্বসেরা একজন ফুটবলার কিভাবে এসে তলানিতে থাকা দলকে সাফল্যের চূড়ায় নিয়ে যান মায়ামিকে দেখে সেটিই মনে হচ্ছে।