স্পোর্টস ডেস্ক:
সাড়ে তিন বছর পর একসঙ্গে মাঠের লড়াইয়ে নেমেছিলেন দুই বন্ধু ও সাবেক বার্সা সতীর্থ লিওনেল মেসি এবং লুইস সুয়ারেস। কিন্তু দুই ফুটবল মহারথীর পুনর্মিলনের ম্যাচটিতে জিততে পারেনি ইন্টার মায়ামি।
এল সালভাদরের বিপক্ষে প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতিমূলক ম্যাচটি শেষ হয়েছে গোলশূন্য ড্রয়ে।
মৌসুমের প্রস্তুতির লক্ষ্যে আয়োজিত হলেও মেসির কারণে ফুটবলপ্রেমীরদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল ম্যাচটি। তার সঙ্গে আবার যোগ হয়েছেন সুয়ারেসও। এই উরুগুইয়ান স্ট্রাইকারের সঙ্গে বার্সেলোনার জার্সিতে সম্ভাব্য সব শিরোপা জিতেছিলেন মেসি। তাদের অনবদ্য জুটি ফুটবল বিশ্বে আদর্শ হিসেবে বিবেচিত হতো। দীর্ঘ বিরতির পর অবশেষে ফের এক জার্সিতে দেখা গেল তাদের।
এল সালভাদরের নিজের মাঠ হলেও স্থানীয় দর্শকদের মধ্যে মেসির প্রতি আবেগের বহিঃপ্রকাশ ছিল দেখার মতো। বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের পায়ে বল যেতেই উল্লাসে ফেটে পড়ছিল গ্যালারি। তবে দর্শকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি মেসি। দুয়েকবার পায়ে বল গেলেও অনেকটা নিষ্প্রভ ছিলেন ছুটি কাটিয়ে ফেরা আলবিসেলেস্তের এই অধিনায়ক।
মেসির খেলা অবশ্য বেশিক্ষণ উপভোগ করতে পারেননি দর্শকরা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই তাকে তুলে নেন ইন্টার মায়ামি কোচ। তার সঙ্গে বদলি করা হয় তার সাবেক বার্সা সতীর্থ সুয়ারেস, সের্হিও বুসকেতস এবং জর্দি আলবাকে। তবে মেসি প্রথমার্ধেই সুযোগ পেয়েছিলেন গোল করার। ৩৫তম মিনিটে তার দুটি প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেন এল সালভাদর গোলরক্ষক। সুযোগ নষ্ট করেছেন আলবাও। ৪০তম মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়েও লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ হন স্প্যানিশ লেফট-ব্যাক। ফ্রি-কিক থেকে জাল খুঁজে পাননি মেসিও। তবে তুলনায় নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন কিছুদিন আগেই ব্রাজিলের ফুটবল ছেড়ে মায়ামিতে পাড়ি জমানো সুয়ারেস।
মেসি-সুয়ারেসের ওপর সব পাদপ্রদীপের আলো থাকা সত্ত্বেও এল সালভাদর সহজে ছেড়ে দেয়নি। পাল্টা আক্রমণে বেশ কয়েকবার লক্ষ্যের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। ফলে ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে দুই দল।
আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি মেজর লিগ সকারের নতুন মৌসুম শুরু হচ্ছে। তার আগে আরও কয়েকটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে মায়ামি। আগামী সোমবার এফসি ডালাসের সঙ্গে খেলবে তারা। এরপর উড়াল দেবে সৌদি আরবে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ক্লাব আল নাসরের বিপক্ষে খেলতে। ম্যাচটি হবে ২৯ জানুয়ারি। এর তিনদিন পর হংকং অল স্টার দলের মুখোমুখি হবেন লিওনেল মেসিরা। ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতি শেষ হবে মায়ামির।