আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বীকার করেছেন, বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মার্কিন ও পশ্চিমা সামরিক পদক্ষেপ বাণিজ্যিক জাহাজে আক্রমণ থামাতে ব্যর্থ হয়েছে। অবশ্য তিনি ইয়েমেনি বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
হুতিনিয়ন্ত্রিত এলাকায় লক্ষ্যবস্তুতে পাঁচ দফা হামলার পর গত বৃহস্পতিবার বাইডেন এমন মন্তব্য করলেন। অবশ্য, হুতিদের সঙ্গে ‘যুদ্ধে নয়’– এমনটা বলছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) বিবৃতিতে বলেছে, তারা ‘এ অঞ্চলে বাণিজ্যিক জাহাজ এবং মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজের জন্য আসন্ন হুমকি’ নির্ধারণের পর দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে।
বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হামলায় কোনো কাজ হয়েছে কিনা– সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে বাইডেন স্বীকার করেন, তারা (হুতিরা) লোহিত সাগরে আন্তর্জাতিক জাহাজে হামলা বন্ধ করেনি।
পেন্টাগনের মুখপাত্র সাবরিনা সিং এক ব্রিফিংয়ে বলেন, হামলা বন্ধ করার জন্য হুতিদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা কখনোই বলিনি হুতিরা এখনই থামবে।’
তিনি বলেন, আমরা গত বৃহস্পতিবার থেকে তাদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সক্ষমতা ধ্বংস করেছি। কিন্তু তারা লোহিত সাগরে ট্রানজিট করা জাহাজের নির্দোষ নাবিকদের বাধা দেওয়া বন্ধ করবে কিনা, সেটা তাদের সিদ্ধান্তের ব্যাপার।
সিং আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে হুতিদের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত বলে মনে করে না। যুক্তরাষ্ট্র যা করছে সেটি কেবল আত্মরক্ষার জন্য। সিং বলেন, আমরা মনে করি না, আমরা যুদ্ধে আছি। আমরা আঞ্চলিক যুদ্ধ দেখতে চাই না।
এদিকে মার্কিন সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, হুতিরা ফের যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানাধীন একটি ট্যাঙ্কার জাহাজ লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ট্যাঙ্কারটি লক্ষ্য করে দুটি জাহাজবিধ্বংসী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। তবে সেগুলো জাহাজটির কাছাকাছি পানিতে পড়েছে এবং এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা কেউ হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনী।
এদিকে হুতিরা হামলার দায় স্বীকার করে বলেছে, তারা নৌ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে চেম রেঞ্জার নামে জাহাজটিকে লক্ষ্যবস্তু করেছে এবং সেটিতে ‘সরাসরি আঘাত’ লেগেছে।
পর্যবেক্ষণ পরিষেবা ট্যাঙ্কারট্র্যাকার ডটকম সামাজিক মাধ্যমে বলেছে, ছোট ওই রাসায়নিকবাহী ট্যাঙ্কারটি সৌদি আরবের লোহিত সাগর বন্দর জেদ্দা থেকে কুয়েতে যাচ্ছিল। কিন্তু দক্ষিণ দিকে ইয়েমেনের দিকে এগোনোর সময় এর অটোমেটিক আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম (এআইএস) বন্ধ করে রাখে।
এই হামলার পর হুতিদের জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্য করে পাল্ট হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী।