আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ২৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে হামলা চালিয়ে বহু আবাসিক ভবন, নাসের হাসপাতাল এবং আল আমাল হাসপাতাল ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে কমপক্ষে ২৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গাজার প্রত্যেকেই এখন ক্ষুধার্ত। ইসরায়েলি বাহিনী সেখানে বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে এবং ওই অঞ্চলে সব ধরনের মানবাধিকার সহায়তা প্রবেশে বাঁধা দেওয়ায় মানবিক সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার এমন কোনো স্থান এখন বাকি নেই যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী তাণ্ডব চালায়নি।
গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৪ হাজার ২৮৫ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৬১ হাজার ১৫৪ জন।
এদিকে হামাসের হাতে জিম্মি নাগরিকদের সুরক্ষা ও সুস্থতা নিশ্চিতের বিনিময়ে অবরুদ্ধ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ত্রাণ সরবরাহ আরও বাড়াতে রাজি হয়েছে দখলদার ইসরায়েল। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) এ নিয়ে কাতার ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল-হামাসের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কাতার ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় মঙ্গলবার দুপক্ষের প্রতিনিধিদের মধ্যে চুক্তি সই হয়েছে। নতুন এই চুক্তি অনুযায়ী, নিজেদের হাতে আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের শারীরিক ও স্বাস্থ্যগত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে হামাস। তার বিনিময়ে গাজা উপত্যকায় আরও বেশি ত্রাণ সামগ্রী ঢুকতে দেবে ইসরায়েল।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এ চুক্তি অনুযায়ী গাজায় বন্দি ইসরায়েলি জিম্মিদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও সুরক্ষা দেবে হামাস। আর গাজার সবচেয়ে বিধ্বস্ত এলাকায় মানবিক সহায়তার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ওষুধ বেসামরিকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, গাজার ফিলিস্তিনিদের জন্য ত্রাণসামগ্রী ও হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের জন্য ওষুধের প্রথম চালানটি বুধবার কাতারের রাজধানী দোহা থেকে মিশরের উদ্দেশে পাঠানো হবে। তারপর সেখান থেকে ত্রাণ ও জিম্মিদের জন্য ওষুধ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস যাবে গাজায়।