নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
কুষ্টিয়া শহরের বারখাদা মধ্য ঈদগাহ পাড়ার ওয়াদিহা সুলতানা বিথীর বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা অমান্য করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, কুষ্টিয়া, মৌজাঃ ৬নং বারখাদা মৌজার আর, এস দাগ নং-২৬১৪ এর ২৫ শতকের মধ্যে ১৯.৮৮শতক দক্ষিণাংশের জমিতে ওয়াদিহা সুলতানা বিথী জোর পূর্বক বাড়ি নির্মাণ করে আসছে। এবিষয়ে ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানাধীন দাশুড়িয়া গ্রামের ওমর আলীর মেয়ে ওয়াহিদা সুলতানা বিথীকে বিবাদী করে জমির মালিক (আমমোক্তারনামা) কুষ্টিয়া ইবি থানাধীন ঝাউদিয়া ইউনিয়নের আস্তানগর গ্রামের আইয়ুব আলীর স্ত্রী জোবেদা খাতুন কুষ্টিয়া বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৪৪/১৪৫ ধারা মতে নালিশী অভিযোগ দেন। কুষ্টিয়া মিসঃ-১০৩৯/২০২৩।
বিজ্ঞ আদালত বাদী পক্ষের কৌসুলির বক্তব্য শুনে বিবাদীকে ২৩ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে আদালতে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদানের জন্য নির্দেশ দেন এবং পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত পক্ষদ্বয়ের মধ্যে নালিশী সম্পত্তির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে।
এছাড়াও কুষ্টিয়ার বিজ্ঞ সদর সহকারী জজ আদালতে ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে জমির মূল মালিক বারখাদা মধ্য ঈদগাহ পাড়া এলাকার মৃত আঃ ওয়াহেদ বিশ্বাসের ছেলে শরিফুল হক কুষ্টিয়া সদর দেং-৪৪৫/২০২৩ মামলা দায়ের করেন। যা চলমান রয়েছে এবং মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে বলে বিজ্ঞ আদালতের আদেশ রয়েছে।
এদিকে উপরোক্ত আদেশ উপেক্ষা করে ওয়াদিহা সুলতানা বিথী জোর পূর্বক বাড়ি নির্মাণ কাজ করছেন। এবিষয়ে কিছু বলতে গেলে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছেন বিথী।
এবিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে জোবেদা খাতুন। জিডি নং ২২৯৩, তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩।
এদিকে বুধবার (১৭ জানুয়ারি ২০২৪) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিথীর বাড়ি নির্মাণ কাজ শেষের দিকে। তারা রাত-দিন গোপনে আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে বাড়ি নির্মাণ কাজ করে যাচ্ছেন বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়।
উপরোক্ত অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে বারখাদা উত্তরপাড়া ওয়াদিহা সুলতানা বিথীর বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বিজ্ঞ আদালতের আদেশক্রমে জারীকারক কুষ্টিয়া মডেল থানার এসআই তপন কুমার নন্দীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিজ্ঞ আদালতের আদেশপ্রাপ্ত হয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়ে এসেছি।