স্পোর্টস ডেস্ক:
শিরোপা সংখ্যায় পেপ গুয়ার্দিওলার ধারেকাছে ছিলেন না কেউ। ভোটাভুটিতে প্রত্যাশিত সেই ফলই মিলেছে। ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে অভূতপূর্ব সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২৩ সালের ফিফা বর্ষসেরা কোচের পুরস্কার জিতেছেন পেপ গুয়ার্দিওলা।
লন্ডনে সোমবার রাতে ‘দা বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ডস’ অনুষ্ঠানে বিজয়ী হিসেবে গুয়ার্দিওলার নাম ঘোষণা করা হয়। ২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ২০ অগাস্ট পর্যন্ত সময়ের পারফরম্যান্স বিবেচনায় এই পুরস্কার পেলেন ৫২ বছর বয়সী সাবেক এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার।
গত মৌসুমে ইন্টার মিলানকে ইতালিয়ান কাপ, ইতালিয়ান সুপার কাপ জেতানো ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে তোলা সিমোনে ইনজাগি এবং নাপোলিকে ৩৩ বছরের মধ্যে প্রথম সেরি আ জেতানো লুসিয়ানো স্পালেত্তিকে হারিয়েছেন গুয়ার্দিওলা।
সেরা কোচ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ফিফার বিশেষজ্ঞ প্যানেল প্রথমে পাঁচ জনের তালিকা দেয়। তাদের মধ্যে থেকে ফিফা ওয়েবসাইটে জাতীয় দলের কোচ, অধিনায়ক, ফুটবল সাংবাদিক ও সমর্থকদের দেওয়া ভোটে সংক্ষিপ্ত তিন জনের তালিকা গত ডিসেম্বরে প্রকাশ করা হয়।
গত এক দশকে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে পরাশক্তি হয়ে উঠেছে ম্যানচেস্টার সিটি। অনেকবার প্রিমিয়ার লিগসহ ঘরোয়া ফুটবলে অনেক শিরোপা জিতেছে তারা। একমাত্র অপূর্ণতা ছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, গুয়ার্দিওলার কোচিংয়ে গত মৌসুমে সেই স্বাদও পেয়ে গেছে তারা। সেই সঙ্গে প্রিমিয়ার লিগ ও এফএ কাপ জিতে পূর্ণ করে ট্রেবল।
তাতে অনন্য এক কীর্তি গড়েন গুয়ার্দিওলা; ইতিহাসের প্রথম কোচ হিসেবে দুইবার জেতেন ট্রেবল (ঘরোয়া লিগ ও কাপের পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ)। প্রথমবার তিনি ট্রেবল জয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন ২০০৯ সালে বার্সেলোনার হয়ে।
দ্বিতীয়বারের মতো ফিফার বর্ষসেরা কোচ নির্বাচিত হলেন গুয়ার্দিওলা। প্রথমবার ২০১০ সালের সেরা কোচের পুরস্কার জিতেছিলেন এই স্প্যানিয়ার্ড; বার্সেলোনার ডাগআউটে থেকে।
নারী ফুটবলে বর্ষসেরা কোচের পুরস্কার আবারও পেয়েছেন ইংল্যান্ড নারী দলের কোচ স্যারিনা ভিগমান। এই নিয়ে টানা দ্বিতীয় ও মোট চতুর্থবার সেরা নির্বাচিত হলেন তিনি। ২০১৭ সালে প্রথমবার জয়ের পর ২০২০ ও ২০২২ সালেও পুরস্কারটি জেতেন তিনি।.