টাঙ্গাইল, প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের বাসাইলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব পৌষ সংক্রান্তি মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী পৌষ সংক্রান্তি মেলা যুগ যুগ ধরে পালিত হচ্ছে। হাজারো দর্শনার্থীদের ভিড়ে মিলন মেলায় পরিণত হয় চাপড়াবিলের মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা শত বছরের সিদ্ধেশ্বরী হিজল গাছটির আঙ্গিনা। পৌষ মাসের শেষের দিন বাঙালি সংস্কৃতিতে একটি বিশেষ উৎসবের দিন। বাঙালির সংস্কৃতিতে বারো মাসে তেরো পার্বণের একটি পার্বণ হলো পৌষ সংক্রান্তি।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দিনব্যাপী উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাসুলিয়া (চাপড়াবিল) সৌন্দর্যের রাণী হিজল গাছের আঙ্গিনায় পালিত হয়েছে এই মেলা।
সরেজমিনে দেখা যায়, নারী-পুরুষ আর শিশু-কিশোরের ভিড়ে কোলাহল মূখর হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গন। হাজারো মানুষের ঢল নামে এই মেলাতে। মেলায় বসে বাতাসা, দই মিষ্টির দোকান, ভাজা পেয়াজো, চানাচুর, বাদাম, মাটির তৈজষপত্র, বাঁশ বেতের তৈজষপত্র, চটপটির দোকান ও শীত বস্ত্রের দোকান।
মেলায় ঘুরতে আসা অজিত সূত্রধর বলেন, ছোট সময় থেকে দেখে আসতেছি হিজল গাছের নিচে এই মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ছোট সময় দাদার সাথে এই মেলায় আসতাম। আজকে পরিবারকে সাথে নিয়ে এই মেলায় ঘুরতে এসেছি।
মেলায় ঘুরতে আসা ধীরা মন্ডল বলেন, এই মেলা যুগ যুগ ধরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দুর-দুরান্ত থেকে অনেক মানুষ এই মেলায় আসেন। নাতিকে নিয়ে মেলায় এসেছি। সকল বয়সি মানুষ এই মেলা এসে কেনাকাটা করেন।
বাসাইল সদর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনিস মিয়া জানান, এই মেলাটি যুগ যুগ ধরে পালিত হচ্ছে। বাসাইল উপজেলা ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলার মানুষ এই মেলায় ঘুরতে আসেন। মেলায় আসার জন্য রাস্তার সমস্যা রয়েছে। দর্শনার্থীরা জমির আইল ধরে মেলায় আসেন। রাস্তার জন্য প্রকল্প দেওয়া হয়েছে। আগামী বছর রাস্তা করা হবে।
বাসাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহেল জানান, দর্শনার্থীরা জমির আইল ধরে এই মেলায় আসেন। পরিকল্পনা রয়েছে হিজল গাছের সামনে রাস্তা করে দেওয়ার জন্য। সবার সহযোগিতায় রাস্তা করা হবে।
বাসাইল থানার ওসি মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন বিপিএম জানান, মেলার নিরাপত্তার জন্য পুলিশ সদস্য নিয়োজিত ছিল। মেলা সুষ্ঠভাবে সম্পূর্ণ হয়েছে।শুনেছি এই মেলাটি যুগ যুগ ধরে পালিত হচ্ছে।