মেহেরপুুর প্রতিনিধি:
সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে মৃত্যুর সাত বছর পর কবর থেকে উত্তোলন করা হলো মরদেহ। ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে তার পরিচয় নিশ্চিত হতে আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার পূর্বমালসাদহ গ্রামের কবরস্থান থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়।
পরে গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাদির হোসেন শামীম, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আব্দুল আল মারুফ, গাংনী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহির রায়হান এবং মামলার বাদী-বিবাদীর উপস্থিতিতে মরদেহের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পূর্বমালসাদহ গ্রামের মিজানুর রহমান খোকনের ছেলে আল কবিরকে (২৫) নিজেদের সন্তানের মতো লালন-পালন করেন নিঃসন্তান দম্পতি জুগিরগোফা গ্রামের আব্দুল লতিফ-হাজেরা খাতুন। তারা ১৩ বিঘা জমি আল কবিরের নামে রেজিস্ট্রি করে দেন। ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কবিরের মৃত্যু হয়। পরের বছর তার পালিত পিতা আব্দুল লতিফ মারা যান। তখন কবিরের নামীয় সম্পত্তি দখল করে নেন আব্দুল লতিফের ভাইসহ অন্যন্যা শরিকরা। এ নিয়ে কবিরের বাবা মিজানুর রহমান খোকন আদালতে মামলা করেন।
মামলায় মিজানুর রহমান খোকন দাবি করেন, কবির তার ঔরসজাত সন্তান। অন্যদিকে আব্দুল লতিফ পক্ষ দাবি করে, কবির আব্দুল লতিফের ঔরসজাত সন্তান নয়। ফলে আল কবিরের সম্পত্তির মালিক কে হবেন তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে মেহেরপুর যুগ্ম জেলা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক কবিরের মরদেহের নমুনা সংগ্রহ করে ডিএনই পরীক্ষার আদেশ দেন।