আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বেতন নিয়ে অসন্তোষের জেরে পাপুয়া নিউগিনিতে ভয়াবহ দাঙ্গা হয়েছে। এতে অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওশেনিয়া মহাদেশের দ্বীপরাষ্ট্র পাপুয়া নিউগিনির রাজধানী পোর্ট মোর্সাবিতে এ দাঙ্গা ঘটে। মূলত পুলিশ ও সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে বেতন নিয়ে অসন্তোষ দেখা দেওয়ায় এর সুযোগে বুধবার শহরের শপিং কমপ্লেক্সে আগুন ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ সময় এসব লোকের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া আন্দোলনে শত শত লোক রাস্তায় নেমে আসে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক বক্তব্যে বলেন, আইন অমান্যকারীদের বরদাশত করা হবে না। আইন ভেঙে কখনও লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব নয়।
দেশটিতে দাঙ্গায় বুধবার রাতে বেশির ভাগের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এখনও শহরটিতে উত্তেজনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট
বৃহস্পতিবার স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানান, দাঙ্গার মধ্যে সুবিধাভোগীরা মূলত লুটপাট চালিয়েছে। এতে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে তিনি নিহতের সংখ্যা জানাননি।
ন্যাশনাল ক্যাপিটাল ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর পাওয়েস পার্কপকে উদ্ধৃত করে বুধবার একটি রেডিও ভাষণের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, তিনি বলেছেন, আমরা আমাদের শহরে অভূতপূর্ব স্তরের সংঘর্ষ দেখেছি, যা আমাদের শহর এবং আমাদের দেশের ইতিহাসে আগে কখনও ঘটেনি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে পোর্ট মোর্সাবি জেনারেল হাসপাতাল জানিয়েছে, দাঙ্গায় আটজনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, সহিংসতা রাজধানীর বাইরে ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লা তে এ সহিংসতায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে শহরটিতে সহিংসতার মাত্রা স্পষ্ট হওয়া যায়নি।
দেশটিতে পুলিশ ও অন্যান্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন ৫০ শতাংশ হ্রাস করার পর অস্থিরতা দেখা দেয়। এর জেরে তারা সংসদের বাইরে বিক্ষোভ শুরু করে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপে বলেন, কম্পিউটারে ত্রুটির কারণে সরকারি কর্মচারীদের বেতন-চেক থেকে প্রায় ১০০ ডলার কেটে নেওয়া হয়েছে। নিউইয়র্ক টাইমসের তথ্যমতে, পুলিশ রাস্তায় না থাকায় লোকেরা এ সুযোগ নিয়েছিল।