Thursday , November 7 2024

স্পেনে অভিবাসনের চেষ্টায় ২০২৩ সালে ৬ হাজারের বেশি প্রাণহানি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

স্পেনে অভিবাসনের চেষ্টাকারীদের জন্য ২০২৩ সালে ছিল সবচেয়ে মারাত্মক একটি বছর। গত বছর সমুদ্র পথে দেশটিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করার সময় ৬ হাজার ৬১৮ জনের বেশি অভিবাসী প্রাণ হারিয়েছে বা নিখোঁজ হয়েছে।

ওয়াকিং বর্ডারস নামের একটি সংগঠন তাদের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকার উপকূলে ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জ থেকে বিশাল সমুদ্র অতিক্রম করার প্রচেষ্টায় ৬ হাজার ৭ জন অভিবাসন প্রত্যাশী মারা গেছে। ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী অভিবাসন রুট বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

স্পেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বছর ৩৯ হাজার ৯১০ জন অভিবাসন প্রত্যাশী স্পেনে পৌঁছেছে। এই সংখ্যা ২০২২ সালের তুলনায় ১৫৪ শতাংশ বেশি।

ওয়াকিং বর্ডারস জানিয়েছে, তাৎক্ষণিক অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান না চালানোর কারণে অভিবাসন প্রত্যাশীদের অনেকে সাগরে ডুবে মারা গেছে। দীর্ঘ সময় বিলম্বের কারণে অনেকের জীবন হুমকির মুখে পড়েছে।

মঙ্গলবার ওয়াকিং বর্ডারের প্রধান হেলেনা ম্যালেনো এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘ইউরোপীয়দের ব্যবহার করা ক্রুজ জাহাজ, মাছ ধরার জাহাজগুলোকে গভীর সাগরে খুঁজে বের করার জন্য আমরা যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করি, তা যদি অভিবাসন প্রত্যাশীদের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয় তাহলে অনেকগুলো প্রাণ বেঁচে যাবে।’

ওয়াকিং বর্ডার জানিয়েছে, গত বছর স্পেনে পৌঁছানোর চেষ্টা করার সময় ৮৪ টি জাহাজ যাত্রীসহ ডুবে গেছে। এছাড়া অভিবাসন প্রত্যাশীরা স্পেনে পৌঁছানোর জন্য সেনেগাল থেকে কাঠের জাহাজে করে ক্যানারি দীপপুঞ্জে যাওয়ার চেষ্টা করে। শুধুমাত্র ওই রুটেই গত বছর আনুমানিক ৩ হাজার ১৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এছাড়া গাম্বিয়া থেকে ক্যানারি দীপপুঞ্জে যাওয়ার পথে ১ হাজারের বেশি প্রাণ হারিয়েছে। একইভাবে মরক্কো এবং পশ্চিম সাহারা থেকে ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছানোর চেষ্টা করার সময় সমুদ্রে ডুবে ১ হাজার ৪১৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জ ছাড়া সবচেয়ে মারাত্মক রুট হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে আলজেরিয়ান রুট। ভূমধ্যসাগর দিয়ে এই রুটে ৪৩৪ জন নিহত হয়েছে। জিব্রাল্টার প্রণালী এবং আলবোরান সাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টায় প্রায় ২০০ জন মারা গেছে।

ওয়াকিং বর্ডার জানিয়েছে, ১৭ টি দেশের মানুষ স্পেনে পৌঁছানোর চেষ্টা করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছে। এদের বেশিরভাগই আফ্রিকা মহাদেশের ছিল। তবে ফিলিস্তিন, বাংলাদেশ, সিরিয়া এবং ইয়েমেনের নাগরিকরাও অভিবাসনের আশায় সমুদ্র পাড়ি দিতে গিয়ে মারা গেছে।

About somoyer kagoj

Check Also

ডেপুটি হাইকমিশনার খাস্তগীরকে প্রত্যাহারের দাবী ও এমআরপি পাসপোর্ট বন্ধের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

মোঃ এলাহী মালয়েশিয়া: মালয়েশিয়ায় ডেপুটি হাইকমিশনার খাস্তগীরকে প্রত্যাহারের দাবী ও বাংলাদেশ সরকারের ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *