নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, গত ৭ জানুয়ারির ‘ভোটারবিহীন’ নির্বাচনে গঠিত জাতীয় সংসদকে ‘অবৈধ’।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় সংসদে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথগ্রহণের পর বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আমরা বলেছি, এই নির্বাচনে জনগণ অংশগ্রহণ করেনি। এই নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, গ্রহণযোগ্য হয়নি। শুধু তাই নয়, জনগণের অংশগ্রহণবিহীন এই নির্বাচন বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশগুলোও গ্রহণ করে নাই। আমরা মনে করি, এটা অবৈধ সরকারের অবৈধ সংসদ।
বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় মৎস্যজীবী দলের উদ্যোগে ৭ জানুয়ারির ভোট বর্জনের জন্য জনগণকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে এসে এই প্রতিক্রিয়া দেন বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক। তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি ভোটে জনগণ অংশগ্রহণ করে নাই। অতএব এই সংসদ সদস্যদের শপথও জনগণ গ্রহণ করবে না।
রাজধানীর বিভিন্ন স্পটে জামায়াতের গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ
জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে রিকশাচালকসহ পথচারীদের হাতে ফুল তুলে দেন বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক। এ সময়ে মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মাহতাবসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে তিনি বলেন, অবৈধ নির্বাচন জনগণ বর্জন করেছে। আমরা জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাদের হাতে গোলাপ ফুল তুলে দিচ্ছি এই ভোটে তারা অংশগ্রহণ না করার জন্য। বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে লজ্জাজনক ঘটনা ৭ জানুয়ারি ঘটিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। জনগণের অনুপস্থিতিতে ভোটারবিহীন নির্বাচনে তল্পিবাহক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে যে ঘোষণা দিয়েছেন আমরা তথ্য-উপাত্ত দেখে বাংলাদেশের সকল মিডিয়া ও গণমাধ্যমে যেটা দেখেছি সেটা হলো ২ থেকে ৪ পাসেন্টের বেশি ভোট পড়ে নাই। সেই ভোটের সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠান আজকে হয়েছে, আমরা তা প্রত্যাখ্যান করছি।
ফারুক বলেন, এই অবৈধ সংসদে যে সরকার গঠিত হবে সেই সরকারকে কখনো জনগণ গ্রহণ করবে না।আমরা সরকারকে হুঁশিয়ার করে দিতে চাই, আপনারা একটা ভুয়া ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছেন। এরশাদও ’৮৬ সালে ’৮৮ সালে নির্বাচন করেছিলো সেই নির্বাচন জনগণ অংশগ্রহণ করে নাই। আপনারা ক্ষমতায় ছিলেন জোর করে, এবার ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি তল্পিবাহক নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে যে নির্বাচন আপনারা করেছেন ভোটারবিহীন, সেই সরকার আপনারা পরিচালনা করতে পারবেন না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘিত। বাংলাদেশের মানুষ জেগেছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে রাজপথে আছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। রাস্তায় ইনশাআল্লাহ আমরা আছি থাকব। গণতন্ত্রের বিজয় অবশ্যই আমরা আনব।