আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
খাদ্য সহায়তার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন গাজার বেশিরভাগ মানুুষ।
যুদ্ধের প্রভাবে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অস্বাভাবিক রকম বেড়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি গাজার কয়েকজন বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছে। বিবিসিকে তারা জানিয়েছেন, খাদ্য ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন তারা। ব্যবসায়ীরা তাদের উচ্চমূল্যে খাদ্য কিনতে বাধ্য করছেন। কিন্তু যুদ্ধের কারণে ক্রয় ক্ষমতা হারানোয় অনেক মানুষ এখন ভিক্ষুকে পরিণত হয়েছেন। তারা এখন অন্যের কাছ থেকে চেয়ে খাবার নিচ্ছেন।
জিহাদ আবু সার্ক নামের এ ব্যক্তি জানিয়েছেন, জীবন বাঁচাতে— নিজের বাড়িঘর ফেলে গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে পালিয়ে রাফাহতে চলে এসেছেন তিনি। রাফাহতে অনেক বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু খাদ্যপণ্য এখন ‘বিলাসী’ পণ্যে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা এখন ব্যবসায়ীদের দয়ায় আছি। তারা ১০ শেকেল দিয়ে (ইসরায়েলি মুদ্রা, যেটি গাজাতেও চলে) পণ্য কেনে; আর সেটি বিক্রি করে ২০০ বা ২৫০ শেকেলে বিক্রি করে।’
প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের সেনা কমান্ড সেন্টারে হিজবুল্লাহর হামলা
গাজায় একদিনে ইসরায়েলের ৯ সেনা নিহত
‘উদাহরণস্বরূপ, তারা গুদাম থেকে ৬০ শেকেল দিয়ে একটি আটার বস্তা কেনে। সেটি পরবর্তীতে আমাদের কাছে ৩০০ শেকেলে বিক্রি করে।’ যোগ করেন জিহাদ আবু সার্ক।
তিনি জানিয়েছেন, পুরো বিশ্বকে এসব ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে এবং এ একচেটিয়া ব্যবসা বন্ধ করতে হবে।
জামাল আবু আলইয়ানের অপর এক ব্যক্তি বলেছেন, ‘যেখানেই আমরা যাই, আমরা ব্যবসায়ীদের একচেটিয়া ব্যবসার শিকার হচ্ছি।’
রাফাহর আরেক বাসিন্দা বলেছেন, ‘অনেক মানুষ না খেয়েই ঘুমাতে যায়। অন্যদিকে খাবার-পানীয় এবং ব্যবসায়ীদের পণ্যের দামের হেরফেরের কারণে অনেকে ভিক্ষুকে পরিণত হয়েছেন।’
জাতিসংঘ হুঁশিয়ারি দিয়েছে গাজা তীব্র খাদ্য সংকটে রয়েছে এবং সেখানে যে কোনো সময় দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে।