স্পোর্টস ডেস্ক:
অল্পের জন্য দু’বার ব্যালন ডি’অর জেতা হয়নি থিয়েরি অঁরির। ফুটবল ক্যারিয়ারে সম্ভাব্য বাকি সব জিতেছেন তিনি। ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপ জিতেছেন, রানার্সআপও হয়েছেন। ইউরো চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও ছুঁয়েছেন। আর্সেনাল ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা এই কিংবদন্তি স্ট্রাইকার।
ওই থিয়েরি অঁরি দাবি করেছেন, ক্যারিয়ারজুড়ে মানসিক অবসাদ নিয়ে খেলেছেন তিনি। ক্লাব ক্যারিয়ারে ৩৬৬ গোল ও আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৫১ গোল করা অঁরির মতে, তিনি যে অবসাদগ্রস্ত ছিলেন, ফুটবল ক্যারিয়ারে তা ঠিকঠাক বুঝতেন না। তবে করোনাকালে মানসিক শক্তি হারিয়ে ফেলেন। ঘরবন্দি জীবনে প্রতিদিন কাঁদতেন তিনি।
ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে অঁরি এক পোডকাস্টে বলেন, ‘ক্যারিয়ারজুড়ে, হয়তো জন্মের পর থেকেই আমি অবসাদগ্রস্ত ছিলাম। আমি তখন হয়তো এটা জানতাম না। হয়তো অবসাদ কাটিয়ে উঠতে তেমন কিছু করিওনি। একটা উপায় বের করে মানিয়ে নিতে হয়েছে। আমি ক্যারিয়ারে সোজা পথে হেঁটেছি এমন নয়, তবে একটার পর একটা পা তুলে হেঁটে যেতে হয়েছে। কখনও থামিনি আমি।’
করোনার সময় কানাডার মন্ট্রিয়লে ছিলেন অঁরি। মন্ট্রিয়ল ইমপ্যাক্টে কোচিং করানোর সময় আইসোলেশনে থাকতে হয়। পরিবারের কাছে ফিরতে পারেননি প্রায় এক বছর। ওই দুঃসময়ের বর্ণনা দিয়ে অঁরি বলেন, ‘বাচ্চাদের সঙ্গে এক বছর কোনো দেখা ছিল না। সময়টা বড্ড কঠিন ছিল। করোনার ওই সময়টায় আমি একেবারেই থেমে যাই। আর সামনে এগোতে পারছিলাম না। কোনো কারণ ছাড়াই প্রতিদিন কাঁদতাম। এমনিতেই চোখ দিয়ে জল গড়াত।’
অঁরি জানান, করোনার বিধিনিষেধ কমলে সন্তানদের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। ওই প্রথমবার নিজেকে একজন ফুটবলার ও কোচের বাইরে মানুষ হিসেবে আবিষ্কার করেন তিনি। ‘আমার কাজ কি শুধু মানুষকে আনন্দ দেওয়া’– নিজেকে এই প্রশ্ন করেন এবং ব্যাগ গুছিয়ে মন্ট্রিয়লের কোচিং ছেড়ে দেন অঁরি।