আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইন্দোনেশিয়ায় শতাধিক যাত্রী বহনকারী দুটি ট্রেনের সংঘর্ষে কমপক্ষে চারজন নিহত এবং কমপক্ষে ২২ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে আরব নিউজ। খবরে জানানো হয়, উভয় ট্রেনের সামনের বগিগুলি ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে আর পিছনের বগিগুলো লাইন থেকে ছিটকে গেছে।
পশ্চিম জাভা প্রদেশে ধানের ক্ষেতের মধ্য দিয়ে চলে যাওয়া একটি ট্রেন লাইনে এই দুর্ঘটনাটি হয়। নিহত চার জনই ট্রেনের ক্রু সদস্য। ইন্দোনেশিয়ার রেলওয়ে অপারেটর জানিয়েছে, দুর্ঘটনার শিকার ট্রেন দুটিতে যথাক্রমে ২৮৭ ও ১৯১ জন যাত্রী ছিল। স্থানীয় সময় সকাল ছয়টার সময় সিকালেংকা নামক স্থানে এই সংঘর্ষ হয়।
এ নিয়ে গভীর শোক জানিয়েছে রেলওয়ে অপারেটর কেএআই। নিহতদের মধ্যে ট্রেনের এক চালক, তার সহকারী, স্টুয়ার্ড এবং নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। পুলিশের মুখপাত্র ইব্রাহিম টম্পো জানান, আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াসহ সব যাত্রীকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে তিনি বলেন যে, একটি যৌথ উদ্ধারকারী দল এখনও দুর্ঘটনায় নিহত একজন ট্রেন ক্রু সদস্যের লাশ উদ্ধারে কাজ করছে। টম্পো বলেন, একজন নিহত ব্যক্তিকে এখনো বের করে আনা যায়নি কারণ তিনি ট্রেনের জিনিসপত্রের নিচে চাপা পড়েছেন।
পরিবহণ মন্ত্রণালয় দুর্ঘটনার তদন্ত পরিচালনা করতে বিশেষ দল মোতায়েন করেছে। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অদিতা ইরাবতী বলেন, আমরা এই দুর্ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। এর কারণে পশ্চিম জাভাতে রেল পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ায় পরিবহন দুর্ঘটনা অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। দেশটিতে বাস, ট্রেন এবং এমনকি বিমানও বেশ পুরানো হয়। এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণও ঠিকভাবে হয় না।
এর আগে গত নভেম্বরে পূর্ব জাভা প্রদেশের লুমাজাং-এ একটি লেভেল ক্রসিংয়ে একটি ট্রেন এবং একটি মিনিবাসের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১১ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়। ২০১৫ সালে রাজধানী জাকার্তায় একটি লেভেল ক্রসিংয়ে একটি কমিউটার ট্রেন একটি মিনিবাসকে ধাক্কা দিলে ১৬ জন নিহত হয়েছিল। ২০১৩ সালে জাকার্তায় একটি কমিউটার ট্রেন ও একটি জ্বালানি ট্যাঙ্কারের মধ্যেকার সংঘর্ষে সাতজন নিহত এবং আরও অনেক আহত হয়।