আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ৩০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নতুন বছরের প্রথম দিনেই দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় উপকূলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এদিকে প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সতর্ক করে বলেছেন, ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। খবর আল জাজিরা, বিবিসি।
সোমবার (১ জানুয়ারি) জাপানের প্রধান দ্বীপ হোনশুতে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এই ভূমিকম্পের জেরে দেশটিতে সুনামিও আঘাত হানে। ভূমিকম্পের ১০ মিনিটের মধ্যে ইশিকাওয়ার ওয়াজিমা শহরে ১.২ মিটার (প্রায় ৪ ফুট) উচ্চতার ঢেউ আঘাত হানে।
জাপানের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার থেকে এ পর্যন্ত জাপানে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার একটি শক্তিশালী কম্পনসহ ১৫৫টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। বেশিরভাগ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৩ থেকে ৪ মাত্রার বেশি। তাছাড়া মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) ভোরেও দেশটিতে ছয়টি শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়েছে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উপকূলীয় সুজু শহরে হাজারের বেশি বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শহরের মেয়র মাসুহিরো ইজুমিয়ায় ভূমিকম্প পরবর্তী ঘটনাকে বিপর্যয়কর বলে বর্ণনা করেছেন।
এর আগে গত মাসের শুরুর দিকে ফিলিপাইনে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পের ফলে জাপানের হাচিজোজিমা দ্বীপে ৪০ সেন্টিমিটার বা ১ দশমিক ৩ ফুট উচ্চার সুনামি ঢেউ আঘাত হানে। দ্বীপটি জাপানের রাজধানী টোকিও থেকে ২৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে।
এছাড়া গত আগস্টে জাপানের হোক্কাইদো শহরে ৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪৬ কিলোমিটার গভীরে।
২০১১ সালের শক্তিশালী এক ভূমিকম্পে জাপানের ফুকুশিমা প্রিফেকচারের দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছিল। ১৯৮৬ সালে চেরনোবিল পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর সবচেয়ে ভয়াবহ পরমাণু দুর্ঘটনা ছিল এই দাইচি পরামাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়া।