Monday , January 13 2025

আইপিএল খেলতে না পারায় হতাশ তাসকিন

স্পোর্টস ডেস্ক:

বিশ্বের বেশিরভাগ ক্রিকেটার এখন ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে নিজেদের নাম লেখাতে উদগ্রীব হয়ে থাকে আর সেটি যদি হয় আইপিএল তাহলে সেই আগ্রহ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই ফ্রাঞ্চাইজি লিগে কয়েকবার খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন বাংলাদেশের তারকা পেসার তাসকিন আহমেদ। বারবার সুযোগ পেয়েও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আপত্তিতে চুক্তি করতে পারেননি এই পেসার। একই কারণে এবার আইপিএল নিলামে নাম দিয়েও শেষ মুহূর্তে সরিয়ে নিয়েছেন। বোর্ডের সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও আইপিএলে খেলার সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় হতাশ তাসকিন আহমেদ।

আইপিএলে স্বাভাবিকভাবেই টাকার ঝনঝনানি থাকে যা যে কোনো খেলোয়াড়ের জন্যই আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। তাসকিনের ক্ষেত্রেও আর্থিক দিকটা বিবেচনায় থাকবে অবশ্যই। আইপিএলে না খেলতে পারা প্রসঙ্গে তাসকিন বলেন, ‘এ নিয়ে তিনবার সুযোগ এলো (আইপিএলে), এবারও মিস হলো। একটু খারাপ লাগে কারণ খেলোয়াড় হিসেবে সবারই ইচ্ছে সব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতে অংশগ্রহণ করার। শুধু আইপিএল না, বিভিন্ন লিগ থেকেই অফার আসে।’

বোর্ডের অনুমতিপত্র না দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বোর্ড আসলে ছাড়পত্র দিতে চায় না বিভিন্ন কারণে। খেলাও থাকে, স্বাস্থ্যের ইস্যু আছে। এবারও বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা বলেছে বিবেচনা করবে। কিন্তু অবশ্যই ভালো লাগে না এরকম ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো মিস করতে। সবারই খেলার ইচ্ছে, আমারও। একই রকম আশা নিয়ে আছি যে ভবিষ্যতে আবার হবে।’

অনেকদিন থেকে ইনজুরিতে থাকা এই পেসার নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলেন। জানান তার ফেরার পরিকল্পনাও, ‘আল্লাহ্‌র রহমতে আগের চেয়ে ভালো। কাঁধে একটু সমস্যা হয়েছিল। এখন মাশাআল্লাহ্‌ আগের চেয়ে ভালো। বিপিএলটাই লক্ষ্য, বিপিএল দিয়ে আবার শুরু করার। তো ইচ্ছা আছে নতুন বছরের শুরুটা আবার ভালো হোক।’

প্রতিভাবান এই পেসার কথা বলেন নিউজিল্যান্ড সফরে টাইগারদের পারফরম্যান্স নিয়েও। জানালেন কিউই মাটিতে প্রথম জয় উপভোগ করার কথা সেই সঙ্গে জয়ীদলে থাকতে না পারার হতাশার কথাও বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমিও অনেক মিস করেছি। কারণ আমি নিউজিল্যান্ডে বোলিং করতে সবসময় খুব উপভোগ করি। কারণ সিম মুভমেন্ট খুব ভালো পাওয়া যায়। ওখানে থাকতে পারলে আমি আরও উপভোগ করতাম। জয়ের সাক্ষী হিসেবে আমিও থাকতে পারতাম। দিন শেষে আমাদেরই তো দল। সবাই আমরা একই। জিততে পারাটাই বড়। সামনে বাংলাদেশের পেস বিভাগ আরও ভালো করবে। সবাই মিলে আরও জয় উপহার দেব।’

তবে জানালেন তিনি উপভোগ করেছেন বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স। বিশেষ করে পেস বোলিং পারফরম্যান্স। ‘এটা (নিউ জিল্যান্ডে পেসারদের ভালো বোলিং) আসলে খুবই শান্তির একটা বিষয়। আমি যখন ম্যাচগুলো দেখছিলাম, সবাই এত দারুণ বোলিং করেছে! এটা খুবই স্বস্তির। দিন শেষে পেসারদের দাপটে এই প্রথম আমরা নিউ জিল্যান্ডে জয় পেয়েছি। পেসার হিসেবে এটা অনেক শান্তির’- তিনি যোগ করেন।

About somoyer kagoj

Check Also

সিনিয়রদের অনুপস্থিতি তরুণদের মেলে ধরার সুযোগ: মিরাজ

স্পোর্টস ডেস্ক:২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথমবার টেস্ট সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *