স্পোর্টস প্রতিবেদক:
দলের প্রয়োজন হলে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলবেন বলেও জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অভিজ্ঞ ওপেনার।
টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের দুয়ারে থাকা ডেভিড ওয়ার্নার এবার ওয়ানডেকেও বিদায় বলে দিলেন। তবে দলের প্রয়োজন হলে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলবেন অস্ট্রেলিয়ার অভিজ্ঞ এই ওপেনার।
সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে নতুন বছরের প্রথম দিন সোমবার ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন ৩৭ বছর বয়সী ওয়ার্নার।
“অবশ্যই আমি ওয়ানডে ক্রিকেট থেকেও অবসর নিচ্ছি। বিষয়টি আমি বিশ্বকাপজুড়েই বলে আসছিলাম। ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ জয় ছিল অনেক বড় অর্জন।”
“কাজেই আজ আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এইসব সংস্করণ থেকে অবসর নিচ্ছি, যা আমাকে বিশ্বজুড়ে লিগ খেলার এবং ওয়ানডে দলকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেবে। আমি জানি সামনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আছে। সামনের দুই বছর যদি ভালো ক্রিকেট খেলি এবং দলের কাউকে প্রয়োজন হয়, আমি থাকব।”
পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যদি না ফেরেন, তাহলে আহমেদাবাদে ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপ ফাইনালই হয়ে থাকবে ওয়ার্নারের শেষ ওয়ানডে। ওই ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে রেকর্ড ষষ্ঠ ট্রফি জেতে অস্ট্রেলিয়া, ওয়ার্নার দ্বিতীয়বার পান এই স্বাদ।
২০০৯ সালের জানুয়ারিতে ওয়ানডে অভিষেকের পর ১৬১ ম্যাচ খেলে ৪৫.৩০ গড়ে ৬ হাজার ৯৩২ রান করেছেন ওয়ার্নার। এই সংস্করণে অস্ট্রেলিয়ার ষষ্ঠ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। তার ২২ সেঞ্চুরি অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২৯ শতক নিয়ে চূড়ায় থাকা রিকি পন্টিং খেলেছেন ওয়ার্নারের চেয়ে ২০৫ ইনিংস বেশি।
এমনিতেও আগামী মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে খেলার সম্ভাবনা ছিল না ওয়ার্নারের। ওই সময়ে দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইএল টি-টোয়েন্টিতে খেলার কথা তার।
সেক্ষেত্রে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতেও পাওয়া যাবে না তাকে। তবে আগামী জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত এই সংস্করণে খেলা চালিয়ে যেতে চান বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
সিডনিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে আগামী বুধবার শুরু সিরিজের তৃতীয় টেস্ট দিয়ে লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায়ের ঘোষণা আগেই দিয়ে রেখেছেন ওয়ার্নার।