স্পোর্টস ডেস্ক:
ছন্দেই ছিলেন স্টুয়ার্ট ব্রড। তেমন কোনো চোট সমস্যাও ছিল না তার। তাই সহজেই আরও কয়েক বছর খেলে যেতে পারতেন অভিজ্ঞ এই পেসার। কিন্তু ফর্মের চূড়ায় থেকে ক্যারিয়ারের ইতি টানার ইচ্ছাকেই প্রাধান্য দেন তিনি। আর তাই আগেভাগে খেলা ছাড়ায় কোনো আক্ষেপও নেই সাবেক এই ইংলিশ ক্রিকেটারের।
গত জুলাইয়ে অ্যাশেজ সিরিজের পঞ্চম টেস্টের মাঝপথে হুট করে পেশাদার ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন ব্রড। তার এমন সিদ্ধান্ত চমক হয়ে এসেছিল অনেকের জন্যই। কারণ ওই সিরিজে বেশ ভালো বোলিং করছিলেন ব্রড। সিরিজের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
একেবারে শেষটাও দুর্দান্ত হয়েছিল ব্রডের। এমন সমাপ্তি হয়তো নিজেও কল্পনা করতে পারেননি তিনি। ক্যারিয়ারের শেষ বলে পান উইকেট, কট বিহাইন্ড করেন অস্ট্রেলিয়ান কিপার-ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স কেয়ারিকে। এমন কীর্তি আছে খুব কম বোলারেরই।
ইতিহাসের দ্বিতীয় পেসার হিসেবে ৬০০ টেস্ট উইকেটের মাইলফলক (৬০৪) ছোঁয়া ব্রড অবসরের মাস ছয়েক পর বললেন, চাইলে আরও দুই বছর খেলে যেতে পারতেন তিনি। অবসরের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনের কারণও স্কাই স্পোর্টসে খোলাসা করলেন তিনি।
“নিজের কাছেও মনে হয়েছিল আমি আরও কয়েক বছর খেলতে পারতাম। কিন্তু ইংল্যান্ডের জার্সিতে খেলে, চূড়ায় থেকে শেষ করতে চেয়েছিলাম…সঠিক সময়ে সরে যাওয়ার চেষ্টা আমাকে করতেই হতো। অবসর নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো আক্ষেপ নেই। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল।”
“বিভিন্ন প্রজন্মের ক্রিকেটার, যাদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি, সবার (অবসর নেওয়ার পর) একবার হলেও মনে হয়েছে, ‘আমি আর পেশাদার ক্রিকেটার নই’। আমি নিশ্চিত নই, হয়তো ইংল্যান্ড যখন ভারতে যাবে কিংবা এপ্রিলে ট্রেন্টব্রিজে নটিংহ্যামশায়ার যখন মাঠে নামবে, তখন হয়তো আমারও তেমন লাগতে পারে। কিন্তু আমি এর চেয়ে ভালোভাবে শেষ করতে পারতাম না। আমি যদি আরো ১০ বছরও খেলি, তাহলেও এমন শেষের পুনরাবৃত্তি করতে পারতাম না। তাই এ নিয়ে কোনো আফসোস নেই।”