বিনোদন প্রতিবেদক:
পর্দায় প্রেমের অপর নাম শাহরুখ খান। তিন দশকের বেশি সময় ধরে বলিউডে নিয়মিত কাজের মাধ্যমে এই অনন্য পরিচিতি তৈরি করেছেন তিনি। ‘কিং অব রোম্যান্স’ খ্যাত এই তারকার সঙ্গে পর্দা ভাগ করে নেওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকেন এই প্রজন্মের অভিনেত্রীরাও। আর কাজ করতে গিয়ে তাদের যে অভিজ্ঞতা হয়, সেটাকে লাইফটাইম মেমোরি বলেই মনে করেন তারা।
ব্যতিক্রম ঘটেনি হালের প্রশংসিত অভিনেত্রী তাপসী পান্নুর ক্ষেত্রেও। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘ডাঙ্কি’ সিনেমায় তিনি শাহরুখের বিপরীতে অভিনয় করেছেন। তাদের রসায়ন মুগ্ধ করেছে দর্শকদের। এক মুহূর্তের জন্য ফিরিয়ে নিয়ে গেছে কালজয়ী ‘ভীর জারা’র স্মৃতিতে।
‘ডাঙ্কি’র মাধ্যমে প্রথমবার শাহরুখের সঙ্গে কাজ করলেন তাপসী। সাক্ষাতও হয়েছে প্রথম। সেই প্রথম দেখা কেমন ছিল? তাপসী বললেন, ‘বিভিন্ন সিনেমায় তার উপস্থিতি, জাদুকরী সব মুহূর্ত তিনি পর্দায় তুলে ধরেছেন, তার গান থেকে সংলাপ, সব কিছুই তখন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। কিন্তু যখন তিনি সামনে এলেন, তাকে একদমই সেরকম (ভীতিকর) ব্যক্তি মনে হয়নি। তিনি খুবই উষ্ণ এবং অতিথিপরায়ণ মানুষ। কিন্তু যাকে বছরের পর বছর ধরে পর্দায় দেখে এসেছি, সেই মানুষটাকে সামনাসামনি দেখে এক মুহূর্তের জন্য নির্বাক হয়ে গিয়েছিলাম।’
শাহরুখের সামনে নিজের মনোযোগ ধরে রাখায় বেগ পেতে হয়েছিল বলেও জানালেন তাপসী। তার ভাষ্য, “তার সঙ্গে প্রথম কয়েকটি সাক্ষাতের সময় আমি নিজেকে সবসময় নড়াচড়ার মধ্যে রাখতাম; ব্যাপারটা এরকম যে, ‘বাস্তবে ফিরে আসো, তিনি আমার সামনেই বসে আছেন!’ সত্যি বলতে এই বিষয়টি কাটিয়ে উঠতে আমার বেশ কিছু দিন সময় লেগেছিল।”
এবার আসা যাক রোম্যান্স প্রসঙ্গে। কেমন ছিল সেই অভিজ্ঞতা? ‘ডাঙ্কি’র মান্নু উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে সেই স্মৃতি আওড়ালেন এভাবে, ‘সেই চিরচেনা চাহনিতে তিনি যখন আমার দিকে তাকিয়ে আছেন, মুহূর্তেই তার ক্লাসিক রোম্যান্টিক ছবিগুলোর দৃশ্য আমার চোখে ভাসছিল। ছবির বেশিরভাগ দৃশ্যেই আমরা একসঙ্গে আছি; ফলে প্রথম দিককার শুটিংয়ে তিনি যখন আমার দিকে এতো প্রেমময় চাহনিতে তাকাতেন, আমার জন্য থমকে না যাওয়া খুব কঠিন ছিল।’
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ‘চাশমে বাদ্দুর’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় তাপসী পান্নুর। ‘পিঙ্ক’, ‘নাম শাবানা’, ‘মুল্ক’, ‘মানমার্জিয়া’, ‘থাপ্পড়’র মতো ছবি রয়েছে তার ঝুলিতে। এবার ‘ডাঙ্কি’ দিয়ে বিপুল দর্শকের কাছে পৌঁছে গেছেন তিনি। এই ছবিটি নির্মাণ করেছেন রাজকুমার হিরানি। গত ২১ ডিসেম্বর মুক্তির পর ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাপী প্রায় সাড়ে তিনশ কোটি রুপির টিকিট বিক্রি হয়েছে ছবিটির।