নীলফামারী প্রতিনিধি:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাংবাদিকরাই ভোটকেন্দ্রের সিসি ক্যামেরার হিসেবে কাজ করবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা।
তিনি বলেছেন, “নানা সীমাবদ্ধতার কারণে আমরা কেন্দ্রগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে পারিনি। এক্ষেত্রে আমরা সাংবাদিকদের উপর নির্ভর করছি। ভোটকেন্দ্রে তারা আমাদের সিসি ক্যামেরার ভূমিকায় থাকবেন।”
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে নীলফামারী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ইসি রাশেদা আরও বলেন, “সাংবাদিকরা ভোটকেন্দ্র থেকে লাইভ সম্প্রচার করতে পারবেন, তবে এক্ষেত্রে ভোটের কার্যক্রমে যেন কোনো ক্ষতি না হয় সেটি বিবেচনায় রাখতে হবে।
“ভোটের পরিবেশ বজায় রাখতে একসঙ্গে দুইজন সাংবাদিকের বেশি কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করতে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার অনুমতি লাগবে না; শুধু অবগত করলেই হবে।”
এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ ভালো রয়েছে উল্লেখ করে প্রার্থীদের উদ্দেশে ইসি বলেন, ‘ভোটের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই নির্বাচনের পরিবেশের উন্নতি ঘটছে। প্রার্থীদের কাছে বিনয়ের সহিত বলছি, তারা যদি নিজেদের মধ্যে হানাহানি-কাটাকাটিসহ অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃস্টি না করেন, তবে ভোটের পরিবেশ আরও সুন্দর হবে।”
বিএনপির ভোটবিরোধী লিফলেট বিতরণ প্রসঙ্গে রাশেদা সুলতানা বলেন, “কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করাটা তার অধিকার। তফসিল ঘোষণা পর নির্বাচন কমিশন ভোটের আয়োজন করেছে। সেই আয়োজনকে নিরুৎসাহিত করা কিংবা বাধা দেওয়া কিন্তু অসাংবিধানিক কাজ। যদি কেউ এমন কাজ করেন তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
“লিফলেট বিতরণ করাটা তাদের রাজনৈতিক অধিকার। ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে নিরুৎসাহিত তারা করতেই পারে, এটা কোনো ফৌজদারি অপরাধ নয়। ওনারা যখনই এটাকে সহিংসতার দিকে নিয়ে যাবেন তখনই তারা অপরাধী হবেন। এক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।”
নীলফামারী জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা পঙ্কজ ঘোষের সভাপতিত্বে রংপুর বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) আবু জাফর, অতিরিক্ত ডিআইজি এস এম রশিদুল হক, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক সাইফুর রহমান, পুলিশ সুপার গোলাম সবুর, রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম ও নীলফামারী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।