চট্রগ্রাম, প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের খুচরা বাজারগুলোতে নতুন আলু উঠলেও দাম চড়া। সরবরাহ কম থাকায় সেভাবে পাওয়া যাচ্ছে না পুরোনো আলুও। গত সপ্তাহ থেকে উভয় পদের আলু কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বাজারে প্রায় কাছাকাছি দরে বিক্রি হচ্ছে নতুন ও পুরোনো আলু। প্রতি কেজি পড়ছে ৮০ টাকা। তবে পুরোনো আলু কোনো কোনো জায়গায় ৭০ টাকায় বিক্রি হতেও দেখা গেছে। এদিকে গত কয়েকদিন ধরে চাক্তাই খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি জয়পুরহাটের নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। খুচরা বাজারে সেই আলু বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।
আড়তদাররা বলছেন, ভারত থেকে আলু আমদানি বন্ধ হওয়ার কারণে বাজার চড়ে গেছে। আগাম জাতের আলুর উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় বাজারে সরবরাহ কম। বাজার চাহিদা অনুযায়ী নতুন আলুর সরবরাহ না থাকায় সংকট তৈরি হয়েছে। অন্যান্য বছর এই সময়ে উদ্বৃত্ত থাকলেও এ বছর পুরনো আলু একেবারে না আসায় প্রভাব পড়েছে বাজারে।
ভোক্তাদের মতে, অন্য বছরগুলোতে এ সময়ে পুরোনো আলুর চাহিদা এবং দামও থাকত কমতির দিকে। কিন্তু এবার দাম কমার বদলে নতুন ও পুরোনো আলু বেশ চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ না থাকায় নতুন ও পুরোনো দুই ধরনের আলুর দামই বাড়তি। সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে এবারই সর্বোচ্চ দামে আলু বিক্রি হচ্ছে। অথচ নভেম্বরেও প্রতি কেজি আলু ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
চাক্তাই আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. আবুল কাশেম আমাদের সময় ডট. কমকে জানান, কোল্ড স্টোরেজ থেকে আলু না আসায় সংকট তৈরি হয়েছে। আড়ত গুলোতে পুরাতন আলুর মজুদ প্রায় শেষের দিকে। বাজারে নতুন আলুরও ঘাটতি আছে। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় দাম বাড়ছে। নতুন আলুর সরবরাহ বাড়লে দাম কমে যাবে। বাজারে গত সেপ্টেম্বর থেকে হঠাৎ আলুর দাম বাড়তে শুরু করে। বাজার নিয়ন্ত্রণে খুচরা ও হিমাগার পর্যায়ে দাম বেঁধে দেওয়াসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের পরও সুফল না পেয়ে গত ৩০ অক্টোবর আলু আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। আমদানির সিদ্ধান্তের পরও বাজারে বড় কোনো প্রভাব পড়েনি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রের হিসাবমতে, সরকার এবার ৩ লাখ ৬ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতিপত্র দিলেও দেশে আলু আসে ৬০ হাজার টন।