মাসুদ রানা :
মহান বিজয় দিবসে এই পরিবারের মতো হাজারো মানুষ আজ শনিবার সকাল থেকে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসছে। পরাধীনতা ঘোচাতে জাতির যে বীর সন্তানেরা তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, কৃতজ্ঞ জাতি স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে, নীরবতা পালন করে তাঁদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছে।
১৯৭১ সালের এই দিনে বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী হাতের অস্ত্র ফেলে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়েছিল বিজয়ী বীর বাঙালির সামনে। স্বাক্ষর করেছিল পরাজয়ের সনদে। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এই বিজয়ের দিনে আনন্দের পাশাপাশি বেদনাও বাজে বাঙালির বুকে। বিনম্র শ্রদ্ধা ও গভীর কৃতজ্ঞতায় জাতি স্মরণ করেছে জানা-অজানা সেসব শহীদকে।
সকাল সাড়ে ছয়টায় প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর্ব শুরু হয়। তাঁরা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় তিন বাহিনীর সুসজ্জিত একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর।
এরপর শ্রদ্ধা জানান জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের নেতাদের নিয়ে শহীদবেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। এ সময় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও কূটনীতিকেরা স্মৃতিসৌধ এলাকা ত্যাগ করার পর স্মৃতিসৌধ সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এরপর শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল নামে। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শ্রমজীবী ও পেশাজীবী সংগঠন, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।