চট্টগ্রাম অফিস :
পেঁয়াজের দাম ‘ওঠানামায়’ খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের কোনো হাত নেই বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।
পাইকারি ব্যবসায়ীদের দাবি, ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সীমান্তের সোনা মসজিদ, হিলি ও ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানিকারকেরা দাম বাড়িয়ে দেন। অনেক আমদানিকারক ঢাকায় বসেও দাম নিয়ন্ত্রণ করেন। চট্টগ্রামে আমদানিকারকের সংখ্যা কম। খাতুনগঞ্জের বেশিরভাগ ব্যবসায়ী কমিশন এজেন্ট। সীমান্ত থেকে আমদানিকারকরা যেভাবে বিক্রির নির্দেশনা দেন, তারা সেই দামে বিক্রি করতে বাধ্য।
সোমবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় এসব অভিযোগ তুলেন খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মো. ফখরুজ্জামান বলেন, ‘আড়ত আপনাদের, ব্যবসা আপনাদের। আরেকজন বর্ডার থেকে কল দিয়ে আপনাদের নিয়ন্ত্রণ করবে এটি কী করে হয়। এটা কেমন ব্যবসা। তাদের তথ্য আমাদের দেন। যে পেঁয়াজ ৯০ টাকা করে কেনা, সে পেঁয়াজ এক লাফে ২২০ টাকা কিভাবে হয়। ১২০-১২৫ টাকার বেশি দামে পেঁয়াজ আপনারা বিক্রি করতে পারেন না।’
তিনি আরও বলেন, এখন থেকে চট্টগ্রামের চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ ও পাহাড়তলীতে যেসব গোডাউন রয়েছে সব গোডাউনের তথ্য নেয়া হবে। এ তথ্য নিশ্চিত করার জন্য আমরা গণবিজ্ঞপ্তি জারি করবো।
সভায় চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক অহীদ সিরাজ স্বপন বলেন, ‘চট্টগ্রামে পেঁয়াজের আমদানিকারক নেই। থাকলেও হাতেগোনা। দুই-একজন ব্যবসায়ীর জন্য পুরো ব্যবসায়ী সমাজ কলঙ্কিত হবে না। তাদের অপকর্মের দায় আমরা নেব না।’
এদিকে দেশের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের দামে অস্থিরতার মধ্যেই মেহেরপুরের নতুন ১৩ টন পেঁয়াজ ঢুকলো খাতুনগঞ্জের আড়তে। এসব পেঁয়াজের দাম ১২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পেঁয়াজ এক কেজিতে ৭-৮টি।
এছাড়া চীন ও পাকিস্তান থেকে রোববার ও সোমবার (১০-১১ ডিসেম্বর) দুই দিনে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে দেশে ঢুকেছে ২২৬ টন পেঁয়াজ।