Tuesday , May 13 2025

ভারত থেকে পেঁয়াজ বন্ধের খবরে এক রাতে রাজশাহীতে পেঁয়াজের মূল্য ডাবল

আবু হেনা মোস্তফা জামান, রাজশাহী:

রাজশাহীর বাজারে একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম ডাবল সেঞ্চুরি ছাড়িয়েছে। ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার ঘোষণার পর অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। রাত পার না হতেই পেঁয়াজের দাম বুদ্ধি পেয়েছে।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকাল থেকে রাজশাহী নগরীর সাহেবাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি। এর আগে শনিবার ও শুক্রবার বিকি হয়েছে ১৫০ টাকায়। এক রাতের ব্যবধানে সরবরাহ না থাকার অজুহাতে দাম বাড়িয়েছে ৫০ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজের দাম পাইকারি বাজারে কেজিতে বেড়ে গেছে ৮০ টাকা পর্যন্ত আর দেশি পেঁয়াজে বেড়েছে ৬০ টাকা।
সাহেববাজারের সবজি বিক্রেতা সুজন জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবরে পাইকারি দোকান ও আড়তগুলোতে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে এবং বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
আরেক খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা বাবু বলেন, দেশি পেঁয়াজের দাম হঠাৎই বাড়তে শুরু করেছে। গত এক সপ্তাহে আগে পেঁয়াজ ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছি। ভারত থেকে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণার পর দাম বেড়ে চলেছে। শুক্রবার দেশি পুরোনো পেঁয়াজ ১৪০ টাকায় বিক্রি করেছি। শনিবার ১৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে হচ্ছে।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ী চাঁদ বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ বন্ধের খবরে দাম বেড়েছে। কোনো পণ্যের দাম ঘোষণা হলেই নির্ধারণের আগে আড়তে সব পণ্যের দাম বেড়ে যায়। এর আগে খুচরা পর্যায়ে ৯০ থেকে ১০০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করেছি। বেশি দামে কিনে, বেশিতেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
আবুল হোসেন নামের এক ক্রেতা বলেন, গত তিনদিন আগেও ১২০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ কিনলাম। বিকেলে বাজারে এসে হঠাৎ শুনলাম পেঁয়াজের দাম ২০০ টাকা। সকালেও পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকায়। পেঁয়াজ যদি এই টাকা দিয়ে কিনতে হয়, তাহলে অন্যন্য জিনিসপত্র কি দিয়ে কিনবো? আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কথা কেউ চিন্তা করে না। সরকারের উচিৎ পেঁয়াজ-সহ এসব পণ্য দাম বেঁধে দেয়া।
নগরীর মাস্টারপাড়া আড়তে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১৮০ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি দরে। আড়তদাররা বলছেন, পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে। এজন্য দাম বেড়েছে। সরবরাহ এতদিন বেশি ছিল তাই দাম কম ছিল।
আড়তদার আব্দুস সালাম বলেন, আমাদের প্রতিকেজি পেঁয়াজ নিয়ে আসতে হচ্ছে ১৫০ টাকায়। সেগুলো বিক্রি করতে হচ্ছে। যা ছিল আমাদের কাছে তা শুক্রবার বিক্রি করেছি। আমরা তো পাইকারি বিক্রি করছি। কিন্তু আমাদেরও পেঁয়াজ কিনে আনতে হচ্ছে।
বাজার মনিটরিং কর্মকর্তা আফরিন হোসেন বলেন, আমরা বাজার মনিটরিং করেছি। যেসব অসাধু বিক্রেতা পেঁয়াজের মূল্য বাড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

About somoyer kagoj

Check Also

শিবগঞ্জ পৌরসভায় নগর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উদ্বোধন

শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি:চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ পৌরসভায় নগর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে শিবগঞ্জ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *